|
অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
বরিশালের চরমোনাই মাদক সেবীর হামলায় ব্যবসায়ী শেবাচিমে
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের নানা অপরাধের গডফাদার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টারদাতা হিসাবে পরিচিত মাইদুল গাজি আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের জালাল গাজীর পুত্র মাইদুল গাজির হাতে প্রায় দিনেই মারধরের শিকার হন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। গত কয়েক দিন পূর্বে সাহেকেরহাট-রাজারচর খেয়াঘাটের এক মাঝিকে বেদম মারধর করে মাইদুলের গঠিত নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। মাইদুল গাজিসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। সরকার যখন মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করছে এর পরেও মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের হাতে প্রতিনিয়তই হামলার শিকার হন সাধারন ব্যবসায়ীরা। গত ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজারচর খেয়াঘাটের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী রুম্মান হাওলাদার (২৭) নিজ দোকান বন্ধ করে বাসা দিকে যাওয়ার পথেই হাজির মাইদুলের ক্যাডার বাহিনী। এই বাহিনীর নেতা মাইদুল গাজী বলে উঠেন শালাকে শেষ করে দেয়। ওর কাছে অনেক দিন টাকা চাই টাকা দেয় না। আমরা আমাদের দল চালাবো কেমনে। সূত্র জানা গেছে মাইদুল কতাকথিত ছাত্রলীগ নেতা। এসময় রাজারচর খেয়াঘাটের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী রুম্মানের হাত ও পা ভেঙ্গে দেয় তারা। সূত্র জানা গেছে, মাইদুল গাজির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে হ্যান্ডকাফ নিয়ে পালানোর ঘটনায় খল নায়ক ছিলো মাইদুল। এলাকাবাসী জানান, সাধারণ মানুষের আতংকের আরেক নাম মাইদুলে পরিণত হয়েছে। আহত ক্রোকারিজ ব্যসায়ীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার ডান পায়ের অবস্থা অনেকটা খারাপ, তাকে যে কোন মূহুর্তে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে শেবাচিমের চিকিৎসকরা। জানা গেছে আহত রুম্মান চরমোনাই ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামের দুলাল হাওলাদারের পুত্র। আহত রুম্মান জানান, আমার সাথে তাদের কোন লেনদেন নেই। আমরা এক সময় ভাগে ড্রেজারের ব্যবসা করতাম এর পরে মন মালিণ্য হয়, পরে আমি ড্রেজার ব্যবসা দিয়ে সরে আসি। আমি অনেক টাকা লোকসান দিয়ে সরে এসেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। এদের বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা বিধ একাধিক মামলা রয়েছে। আহত রুম্মান আরো জানান, আমাকে মূলত মারধর শুরু করেছে মাইদুল গাজী আর তার সাথে ছিলো আলতাফ মল্লিকের পুত্র শাকিল মল্লিক ও হুয়ায়নের পুত্র শান্ত। এদের সাথে আরো বেশ কয়েকজন ছিলো তাদের আমি দেখলে চিনবো তাদের নাম জানা নেই। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোতয়ালী থানার এএসআই আজমল হোসেন। তিনি জানান সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা ঘটনাস্থল থেকে আহতকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এবিষয় কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views:
১,১১৫
|
|