প্রাথমিকভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে
বরিশালের গৌরনদীতে পুলিশের বিরুদ্ধে ইলিশ লুটপাটের অভিযোগ!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ বাজারে পুলিশ অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে তিন মাছ ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকার ইলিশ মাছ লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রব হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। হোসনাবাদ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার (৩৫), লালচান ভূঁইয়া (৪০), পলাশ বেপারী (৪০) অভিযোগ করেন, প্রতিদিনের ন্যায় জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ ক্রয় করে ওই বাজারে বিক্রি করে আসছে। গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল কবির, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সালামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় ওই তিন মাছ ব্যবসায়ীকে ইলিশ মাছ বিক্রির অপরাধে তাদের বিক্রির জন্য আনা প্রায় ৫০ হাজার টাকার ছোট বড় ইলিশ মাছ জব্দ করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ওই মাছ ব্যবসায়ীদের তদন্ত কেন্দ্রের হাজতে আটক করে বড় মাছ আলাদা করে লুকিয়ে রাখে। ওই দিন দুপুরে ছোট ইলিশ মাছসহ তাদের উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের হাজির করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন ওই সময় ইলিশের কোন অভিযান না থাকায় তাদের ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রব হাওলাদারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে শুক্রবার সকালে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রব হাওলাদার তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তদন্ত শেষে তিনি (আব্দুর রব হাওলাদার) বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামকে (পিপিএম) অবহিত করা হয়েছে। স্যারের (পুলিশ সুপারের) নিদের্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাছ লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযানের ব্যাপারে আমার জানা ছিল না। হোসনাবাদ বাজারের তিন মাছ ব্যবসায়ীকে ঝাটকাসহ উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করি। পরবর্তীতে ইউএনও স্যার তাদের ছেড়ে দেন’। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাম অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ৭ অক্টোবরের আগে ইলিশের কোন অভিযান নাই।