দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমী ফল। যার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের লাল টকটকে রসালো লিচু অন্যতম। যা দেখলেই জিভে জল এসে যায়। কিন্তু ফরমালিন আতংকে ওইসব লাল টকটকে লিচু এ বছর পরিহার করেছে আগৈলঝাড়ার ক্রেতারা। যে কারনে দেখতে লাল টকটকে না হলেও গ্রামাঞ্চলের বাড়ির আঙ্গিনা বা মাছের ঘেরের পাড়ে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত লিচুর কদর বেড়েছে সর্বত্র। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে লিচু বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, গ্রামাঞ্চলের লিচু গাছ থেকে লিচু পেড়ে ২০ ও ৫০টি করে আঁটি বেঁধে বিক্রির জন্য বাজারে আনছেন তারা। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের লিচুর কদর বেড়ে যাওয়ায় এক’শ লিচু ২শ থেকে ৩শ টাকা দামে বিক্রি করছেন তারা। পাশাপাশি ফরমালিন আতংকে পাকা রং বৃদ্ধি লাল টকটকে রসালো লিচু ছুঁয়েও দেখছেন না ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য লিচুর ছোট বাগান রয়েছে। অধিকাংশ লিচু গাছে গত ২-৩ বছরের তুলনায় এবছর লিচুর ফলনও ভাল হয়েছে। রোদের তাপ ও খুব বেশি বৃষ্টি না হওয়ায় এবার গত বছরের তুলনায় লিচুর সাইজ একটু ছোট। ব্যসায়ি গৌরাঙ্গ বৈদ্য জানান, তিনি বাকাল এলাকার দশটি বাগানের লিচু ক্রয় করেছেন। স্থানীয় লিচু উত্তরাঞ্চলের লিচুর চেয়ে একটু কম মিষ্টি হলেও সচেতন মানুষের কাছে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। দামও পাওয়া যায় ভাল। গ্রামাঞ্চলের ওইসব লিচু গাছে বাদুড় ও কাকের উপদ্রপ থেকে লিচু রক্ষা করতে তিনি লোক দিয়ে পাহারা বসিয়েছেন। এছাড়াও বাঁশ কিংবা টিনের তৈরি বিশেষ বাজনা বাজিয়ে উচ্চঃস্বরে শব্দ করে তাড়ানো হচ্ছে কাক ও বাদুড়। রাতের বেলায় লিচু গাছে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক বাতি। স্থানীয় লিচুর চাহিদা থাকায় ব্যবসায়িরা এবার লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।