|
সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে এই শিল্পের আরো প্রচার বা প্রসার ঘটানো সম্ভব
বরিশালেই নারিকেলের আইচায় তৈরী হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ‘নারিকেল’, ‘নারকোল’ কিংবা ‘নারকেল’ এমনিই একটি ফল যা একদিকে যেমন পুষ্টিকর অপরদিকে এর বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরী হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। আমরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকেলের পানি ও শাঁস ব্যবহার করে আইচাটি ফেলে দেই। কিন্তু আমাদের এই ফেলে দেয়া আইচা দিয়েই তৈরী করা হচ্ছে নানান জিনিস পত্র। নারিকেলের ফেলে দেয়া অংশ আইচা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার শো-পিস তৈরি করে তাকে শিল্পে রূপান্তরিত করেছে বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড চাঁদমারী এলাকার বেলসপার্ক (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) পাড়ার যুবক জেমস তিমথী অধিকারী। পিতার অনুপ্রেরণায় যুবকের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরী হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। ১৯৯৫ সালে প্রয়াত র্নিমল অধিকারী তার নিজ বাস ভবনে বসে নারিকেলের আইচা সংগ্রহ করে তা থেকে তৈরী করতে শুরু করে নানা উপকরন। পিতার মৃত্যুর পর ছেলে জেমস তিমথী অধিকারী এই শিল্পের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার হাতে তৈরী নারিকেলের আইচা দিয়ে বিভিন্ন উপকরন বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ দিশের ভিন্ন অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত ও নামিদামী সপিং কম্পেক্সে। জেমস তিমথী অধিকারী জানান, পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠী বিসিক রোড থেকে নারিকেলের আইচা সংগ্রহ করেন তিনি। আস্তা আইচা ৮ হাজার টাকা ও অর্ধেক ২শ টাকা দরে ক্রয় করেন। এগুলো বরিশালে নিয়ে এসে নিজের তৈরী করা মেসিনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরন তৈরী করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে, নারীদের বিভিন্ন ধরনের অলংকার সামগ্রী, শো-পিচ, পাখি, হেড ফোন রাখার ব্যাগ, ল্যাম্প সেড, মাক্রশা, রান্নার কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী। তিনি জানান, এই কাজের জণ্য সরকারী কোন সহয়তা পাচ্ছেন না তারা। তবে সরকারী সহায়তা পেলে এই শিল্পকে আরো আধুনিকায়ন করে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ পাওয়া যেত। তিনি আরো বলেন, কিন্তু তার এসব পণ্য বরিশালে তেমন চাহিদা না থাকায় বেশি চলে না। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বরিশালের আয়োজিত মেলায় স্টল দিয়ে নিজেদের তৈরী করা পন্য বিক্রি করেন। বর্তমানে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের মেলায়ও তারা স্টল রেখেছেন। জানাগেছে, তিনি বাড়িতে বসে নিজের হাতে আইচা ব্যবহার করে নানান জিনিস পত্র তৈরী করেন এবং এগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন মেলায় স্টলগুলোতে তার মা মনপ্রভা অধিকারী এগুলো বিক্রি করেন। মেলার স্টল ঘুরে দেখা গেছে মনপ্রভা অধিকারী নিজেই তাদের তৈরী পন্য সামগ্রী বিক্রি করছেন। মনপ্রভা অধিকারী জানান, কাঁচা মালের অধিক দাম ও জিনিস পত্রের চড়াও দামের কারণে এই শিল্প থেকে অনেই সরে যাচ্ছে। তবে আমরা আমাদের এই শিল্পকে ধরে রেখেছি। সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে এই শিল্পের আরো প্রচার বা প্রসার ঘটানো সম্ভব বলে অভিমত স্থানীয়দের।

সূত্র : সাউথ ভয়েস
Post Views:
১,৯৭১
|
|