প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরগুনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত কমিটি গঠন
Saturday October 28, 2023 , 5:51 am
তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষ হলে বিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা-উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বরগুনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত কমিটি গঠন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের অর্থ লেনদেনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অভিযোগ উঠে, গণনা করা টাকা ঘুস হিসেবে গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পরের দিন বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি। বরগুনা সিভিল সার্জন ডা: মো: মোহাম্মদ ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল মুনায়েম সাদকে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (বরগুনা সদর) ডা: শায়লা ফেরদৌস আহসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (বামনা) ডা: মো: মনিরুজ্জামান। সত্যতা স্বীকার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ফার্মাসিস্ট কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, ভিডিওর ঘটনাটি সম্পূর্ণ সত্য। সেদিন ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুসের টাকাই নেওয়া হয়েছিল। আমি স্যারের অফিস কক্ষের মধ্যেই তার (ফাহমিদা লস্কর) নির্দেশে ঠিকাদাররে কাছ থেকে ওই টাকার বান্ডিলটি গ্রহণ করি। স্যার আমাকে গণনা করে রাখতে বলায়, আমার অফিসে বান্ডিলটি গণনা করে ৫০ হাজার টাকা রেখে দেই। অফিস শেষে স্যার (স্বাস্থ্য কর্মকর্তা) টাকা চাইলে ওই টাকা আমি তার কাছে দিয় দেই। তিনি আরও বলেন, আমি ঘুসের টাকার লেনদেনের বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে সত্যতা স্বীকার করায়, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। কারণ স্যার (ফাহমিদা লস্কর) বলেছেন তার হাত বেশ লম্বা। বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষ হলে বিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বরগুনা সিভিল সার্জন ডা: মো: মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, তদন্ত কমটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেছেন বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা: শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের অর্থ লেনদেনের (৬ মিনিটি ৪৪ সেকেন্ডের) একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভিডিওতে দেখা ও শোনা যায়, পথ্য ও স্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারি (প্রতিনিধি) মো: রেজাউল ইসলাম মামুন খান বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশের পর, ছয় মাসের খাবারের মোট বিলের লভ্যাংশ পার্সেন্টেজ অনুযায়ী (স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কত টাকা এসেছে) এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে কথোপকথন হয়। এক পর্যায়ে বেতাগী হাসপাতালে কর্মরত ফার্মাসিস্ট কৃষ্ণ কুমার পালকে তার অফিসে ডেকে মামুন খানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বান্ডিলটি গুনে তার কাছে রাখতে নির্দেশ দেন। পরে কৃষ্ণ তার অফিস কক্ষে গিয়ে টাকা ভর্তি খামটি খোলেন এবং টাকা গণনা করে রেখে দেন।