প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বন্ধুর প্রতারণায় নিঃস্ব প্রবাসী, বাউফলের বশিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতে মামলা!
Monday September 16, 2024 , 5:21 pm
মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে আদালতের নির্দেশ
বন্ধুর প্রতারণায় নিঃস্ব প্রবাসী, বাউফলের বশিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতে মামলা!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে বন্ধুও কাল হয়ে ওঠতে পারে জীবনে। আর এতে স্বাভাবিক জীবনে নেমে আসে ঝড়। ফায়দা লুটে স্বার্থন্বেসী ঐসব বন্ধু প্রতারিত করে অপরপ্রান্তের সরল ব্যক্তিকে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একপর্যায়ে সব লুটে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়ে দেয় হতাশার সাগরে। আর এমনটিই ঘটেছে বরিশালের দুই ভাইয়ের জীবনে। এক বন্ধুর অসাধু হাতছানিতে নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। ভুক্তভুগী দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন অষ্ট্রিয়া প্রবাসী। আর আরেকজন বরিশালের ব্যবসায়ী। উভয়ে সহোদর। ভুক্তভুগীরা হলেন, বরিশাল নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের মৃত ইছাহাক চৌধুরীর দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও মুরাদুল ইসলাম। এর মধ্যে মুরাদুল ইসলাম অষ্ট্রিয়ায় পাড়ি জমায় দীর্ঘ ১০ বছর পুর্বে। আর সাইদুল বরিশালেই ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন। প্রতারণার মাধ্যমে জীবনে সব সম্বল হারিয়ে বিচারের দাবি জানিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভুগী সাইদুল ইসলাম। অভিযুক্ত বন্ধু হলো, পটুয়াখালীর বাউফলের সাতবাড়ী-রামনগর গ্রামের আবদুস সালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশির উদ্দিন। প্রতারণার মাধ্যমে দুই ভাইয়ের থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক বলে মামলা সুত্রে জানা গেছে। দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত। দায়েরকৃত মামলায় বাদী মহানগরীর রূপাতলী এলাকার সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আমার ছোট ভাই মুরাদুল বরিশাল পলিটেকনিকে পড়াশুনা করতো। এসময় সহপাঠি পটুয়াখালীর বাউফলের সাতবাড়ী-রামনগর গ্রামের আবদুস সালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশির উদ্দিনের সাথে তার বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে মুরাদুল অষ্ট্রিয়া চলে যাওয়ায় বন্ধুত্বের সূত্রে বশির উদ্দিন নানা প্রলোভনে তাদের কাছে টাকা দাবী করে আসছিল। এক পর্যায়ে কুয়াকাটার পাঞ্জুপাড়া এলাকায় পর্যটন হোটেল নির্মাণে জমি ক্রয় সহ শরিক হবার জন্য ৯০ লাখ টাকা প্রদানের অনুরোধ করে বিষয়টি নিয়ে নানা আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারী স্থানীয় কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে নগদ ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তিতে সোনালী ব্যাংক সিএন্ডবি রোড শাখায় অভিযুক্ত বশিরের ব্যাংক হিসেবে ও তার বিকাশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে আরো ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা জমা দেন বাদী অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মুরাদুল ইসলাম ও তার ভাই সাইদুল ইসলাম। কিন্তু এরপর কুয়াকাটায় হোটেল নির্মানের জমি দেখতে চাইলে নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করে অভিযুক্ত বশির। এক পর্যায়ে কিছু অপরিচিত লোককে কুয়াকাটার জমির মালিকে সাজিয়ে জমি কিনতে হলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন এবং তা সময় সাপেক্ষ বলে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত ২৩ আগষ্ট বশিরের বাড়ীতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে সে সবকিছু অস্বীকার করে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি অস্ট্রিয়া প্রবাসী মুরাদুল ইসলাম দেশে ফিরলে অপহরণ করে খুন করারও হুমকি প্রদর্শন করে বলে দায়েকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বাদীর নিয়োজিত আইনজীবীর আর্জি বিবেচনা করে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বরিশাল জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী পক্ষে অর্জি পেশ সহ মামলাটি পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে সংযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জাকির হোসেন মজুমদার জানান, এখনো কাগজ পৌঁছায়নি। পেলেই সঠিকভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।