Current Bangladesh Time
সোমবার সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে ১৪ দলের শরিকরা 
Monday September 2, 2024 , 10:21 am
Print this E-mail this

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দলগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই

বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে ১৪ দলের শরিকরা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দলগুলোর কোনো কার্যক্রম নেই। নেতাকর্মীরা রয়েছেন নিস্ক্রীয়। এই জোটের অন্যতম দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করছেন। অন্য নেতাদের কেউ কেউ রয়েছেন আতঙ্কে। রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এ জোটের শরিক দলগুলোর একাধিক সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখনও এ দলগুলোর অনেক নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন ৷ বিশেষ করে যারা ১৪ দল এবং নিজ নিজ দলের রাজনীতিতে সক্রিয় ও সামনের সারিতে ছিলেন ৷ অনেকে চুপচাপ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ৷ আবার অনেকে মামলায় জড়িয়ে পড়ার ভয়ে আছেন ৷ কারণ, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক মামলায় ১৪ দলের তিন নেতাও রয়েছেন। তারা হলেন – ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। রাশেদ খান মেনন ও হাসানুর হক ইনু এখন গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ও নেতাদের নামে মামলা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টারা গত শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে ১৪ দলের অন্তর্ভুক্ত কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, দল কীভাবে টিকবে বা এই রাজনৈতিক সংকটপূর্ণ মুহূর্তে দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা কী হবে সে বিষয়ে এ দলগুলোর নেতারা কেউ কিছু বলতে পারছেন না ৷ ওই সব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ দু-একজনের সঙ্গে কথা হলেও তারা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না বা প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না ৷ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এই মুহূর্তে চুপ থাকাই ভালো বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন ৷ আবার এই মুহূর্তে চুপ থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখার কৌশলও নিয়েছেন অনেকে এবং সেটি অব্যাহত রেখেছেন। তবে এ জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ্য থেকে মাঝে মধ্যে দুই একটি বিবৃতি পাঠানো হচ্ছে মিডিয়াতে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মতো এ জোটভুক্ত দলগুলোও এখন মারাত্মক সংকটে পড়েছে। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে জোটের দলগুলোর নেতাকর্মীরা আত্মোপলব্ধি করতে শুরু করেছেন ও নিজেদের দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ভবিষ্যতে দল অস্তিত্ব নিয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবে কি না সিই আশঙ্কাও রয়েছে কোনো কোনো দলের নেতাকর্মীদের। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদের (পূর্ণাঙ্গ) ও চতুর্থ মেয়াদের ৭ মাসের সরকারের প্রথম দুটিতে জোটের কয়েকটি দলের নেতারা মন্ত্রীসভায় ছিলেন। প্রথম সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, দ্বিতীয় সরকারের মন্ত্রীসভায় ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পাটির(জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই জোট থেকেই নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। এছাড়া জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ এই দলগুলো থেকে আরও কয়েক জন নবম, দশম ও একাদশ সংসদে এমপি হয়েছিলেন। মঞ্জু ছাড়া এরা সবাই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ন্যাপ ও গণতন্ত্রী পার্টি থেকে একজন করে সংরক্ষিত মহিলা আসনেরর সদস্য করা হয় নবম সংসদে। সদ্য বিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদে রাশেদ খান মেনন, জাসদের রেজাউল করিম তানসেন এমপি ছিলেন। আর সংরক্ষিত মহিলা আসনে গণতন্ত্রী পার্টির এক জন এমপি ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসানুর হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ফজলে হোসেন বাদশা জোট থেকে অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০০৫ সালে ১৪ দলের যাত্রা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ বা দলটির সরকারের ব্যর্থতার দায় এ দলগুলোকেও বহন করতে হচ্ছে বলে দলগুলোর নেতাকর্মীরা মনে করছেন।




Archives
Image
দলবাজ ছাত্র-শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না-ড. ইউনূসকে শিক্ষার্থীরা
Image
বরিশালে শ্বাসনালিতে খাবার আটকে শিশুর মৃত্যু
Image
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
Image
বরিশালের গৌরনদীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Image
বরিশালে প্রতিপক্ষের হামলা, ১০ জন হাসপাতালে