|
বানারীপাড়া উজিরপুর থেকে এবারে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক
প্রার্থী যেই হোক ভোট চাই নৌকায়-সৈয়দা রুবিনা মীরা
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী মাত্র কয়েক মাস। তাই সব খানেই নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বরিশাল-২ (বানারীপাড়া/উজিরপুর) এ থেকে বাদ পড়েনি। বানারীপাড়া উজিরপুর থেকে এবারে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক। এ আসন থেকে এবার নির্বাচন করতে চায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পুষ্ট, আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের রত্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক জি এস, মোশাররফ হোসেন রাজা’র সহধর্মিণী। এ্যাডঃ সৈয়দা রুবিনা মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইয়ারের ছাত্রী ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি আইন পেশায় পদাপর্ন করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সেবা মুলক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। সৈয়দা রুবিনা মীরা বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা’র সহ-সভাপতি, পরিচালক বিপনন, ইনফিনিটি টেকনোলজি ইন্টারন্যাশনালঃ, সাবেক সদস্য, যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি বিএনসিসি ও গার্লস গাইড এর সাথেও সম্পৃক্তত ছিলেন। তিনি একজন খুব ভাল বিতর্ক প্রতিযোগী ছিলেন। তিনি ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকবার গ্রেপ্তার হন। তার স্বামী মোশাররফ হোসেন রাজা জাতির জনক বংগবন্ধুর অবিনাশী আদর্শের একজন সৈনিক। সে ছিল স্বৈরচারী এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আতঙ্ক। আগৈলঝাড়ার অজোর পাড়াগাঁয়ের সেই নম্র ভদ্র মেধাবী মোশাররফ হোসেন হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন তুখোড় ছাত্রনেতা। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে মোশাররফ হোসেন রাজা জীবনের অনেকটি বছর কারাগারে অতিবাহিত করেন। তার স্বামীর অবর্তমানেই শুধু নয়, তিনিও ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। রাজা যখন জেলে থাকত তখন মীরা রাজার কাজগুলোও করতেন। এভাবেই তারা দু’জনই জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন। তাদের নাম আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে খুব জনপ্রিয় দু’টি নাম রাজা ও মীরা। গত সোমবার বিকেল ৫টা ৩০মিঃ এর সময় বানারীপাড়া পাবলিক লাইব্রেরী মিলানায়তনে বানারীপাড়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, প্রার্থী যে কেউ হতে পারে, তবে নৌকা প্রতীক দেয়ার মালিক আমাদের মমতাময়ী মা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা।তিনি আরো বলেন, এ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা অনেক, সবাই নৌকা প্রতীকের জন্য মাঠে কাজ করেন, তবে মনোনয়ন পাবেন একজনে, যেই মনোনয়ন পাবে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করে তাকে বিজয়ী করে জননেত্রীকে আসন উপহার দিতে হবে। সৈয়দা রুবিনা মীরা’কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী জানেন আমাদের মমতাময়ী মা’ জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার অবিভাবক আবুল হাসানত আব্দুল্লাহ এবং মিসেস সাহানারা আব্দুল্লাহ। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে আওয়ামীলীগের পতাকা তলে আবদ্ধ হয়েছি। ১৯৯০ সালে আব্দুল্লাহপুর থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমি পদযাত্রায় অংশ গ্রহন করেছি। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেছি দলের স্বার্থে। একাধিকবার কারা নির্যাতন ভোগ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিবৃতি না দেওয়ার জন্য অত্যাচারিত হয়েছি খালেদা সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দ্বারা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে আমার কাছে মূল উপজীব্য ছিলেন আমাদের মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে এ আসন থেকে আমার স্বামী নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু এবার সে না এবার আমিই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যদি আমাদের মমতাময়ী মা’ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে পাঠান, তবে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি বানারীপাড়া/উজিরপুর (বরিশাল-২) আসন আমি নেত্রীকে উপহার দিতে পারব ইনশাল্লাহ। সৈয়দা রুবিনা মীরা ইতিমধ্যে বানারীপাড়া উজিরপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তিনি যেখানেই গণসংযোগে যান সেখানেই জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করেন। তিনি বলেন প্রার্থী যেই হোক দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতিকে এ আসন থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তার পক্ষে কাজ করে তাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেব, এটাই হবে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
Post Views:
১,১৫৪
|
|