|
দলীয় কোন প্রার্থী না থাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে
পিরোজপুর-১ আসনে দল বাঁচাতে দলীয় প্রার্থী চায় নাজিরপুরের বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা
এইচ এম দেলোয়ার হোসেন : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে দল বাঁচাতে দলীয় প্রার্থী চায় নাজিরপুরের বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।নাজিরপুর , পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী) নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী পেতে ইতিমধ্যে জোট বেঁধেছে স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে।জেলার সর্ব প্রথম নাজিরপুর থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে এ আসনের সর্বত্রই।এ নিয়ে গত ৯ বছর ধরে পৃথক সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ দলীয় সভা-সমাবেশে চলছে নেতা-কর্মীদের জোড়ালো বক্তব্য।জানা গেছে, জেলা সদরের এ আসনে ইতিমধ্যে জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর কেন্দ্রেীয় মহাসচীব সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারের নাম উঠে এসেছে।তিনি উপজেলার মাটিভাংগা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেও এ নিয়ে তার নিজ উপজেলা (নাজিরপুর) বিএনপিতে চলছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ এ আসনের (পিরোজপুর-১) নাজিরপুর উপজেলা সহ কোথাও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর কোন কমিটিসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক ওই মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, তিনি (সাবেক মন্ত্রী) গত কয়েক বছরে দলীয় বিষয়েও কোন খোঁজ-খবর নেন নি।স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরীক দল হিসাবে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-এর প্রার্থী হয়ে ১২হাজার ভোট পেয়ে জামানাত হারানো এ নেতা বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কোন নেতা-কর্মীর খোঁজ-খবরও নেন নি।এমন নেতাকে জোট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিলে দলের নিশ্চিত ভরাডুবি হবে।এ দিকে দলীয় একটি সূত্র জানায়, জেলার সদর এ আসনে গত ২০০১ সাল থেকে দলীয় কোন প্রার্থী না থাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।তখন জোটের পক্ষে প্রার্থী ছিলেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে আজীবন কারাবাসে দন্ডিত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন জানান, জেলা সদরের এ আসনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ৯ বছর সংগঠন গোছাতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।তিনি আরো জানান, ওই নির্বাচনে তিনি (আলমগীর) এ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন চাইলে সে সময়ে জোটনেত্রী বেগম জিয়া পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হিসাবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।তাই আগামী নির্বাচনে এখানে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না থাকলে নেতা-কর্মীরা যেমনি হতাশ হয়ে পড়বে তেমনি সাংগঠনিক সংকট দেখা দেবে।এ জন্য দল বাঁচাতে জেলা সদরের এ আসনে দলীয় যোগ্য প্রার্থী একান্ত প্রয়োজন।দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ (বাকসু)-এর সাবেক মিলনায়তন সম্পাদক এইচ এম লাহেল মাহমুদ জানান, গত বিএনপি সরকারের আমলে জোটের অধীনে জামায়াত মনোনীত এমপি থাকায় এ আসনসহ জেলা বিএনপি’র রাজনৈতিক অবস্থা বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।আর্থিক ও সাংগঠনিকভাবে সে সময়ে জামায়াত নেতাদের খুব তোরজোড় থাকলেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এ আসনের সাবেক এমপি সাঈদীর বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে সহ গত ৯ বছরে জেলা জুড়ে আওয়ামী বিরোধী একটি মিছিলও করেনি সংগঠনটি।উপজেলার তৃনমূল নেতা মাহাবুবরহমান (শানু) ও বরকত জানান, দলের মনোনীত প্রার্থী হলে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বৃদ্ধিপাবে তৃণমূলের সমর্থনে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনায়ন দিলে বিজয় হবে।
Post Views:
১,৫৩৮
|
|