|
মামলায় ৭৭ জন নামীয় ও ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন
পিরোজপুরে আ.লীগের ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২২৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ এনামূল হক মোল্লা বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় বিষ্ফোরক আইনে ওই মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-৬/১৭৮)। মামলায় ৭৭ জন নামীয় ও ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন। দায়েরকৃত ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ছাড়াও দলীভাবে পরিচিত জনপ্রতিনিধিগনও রয়েছেন। এরমধ্যে জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক রয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জান অনিক ও সাধারন সস্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান পান্না, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুমন, মাসুম খান রাজ, শেখ শিহাব উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারী গোলাম মাওলা নকীব, খান মোঃ আলাউদ্দিন, শেখ মোঃ ফিরোজ, ইরতিজা হাসান রাজু প্রমুখ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাত বোমা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরের পোষ্ট অফিস সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আসামিরা এ সময় বিএনপি কার্যালয় গিয়ে হাত বোমা ফাটিয়ে লোহার রড, জি আই পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে অফিসের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এসময়ে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবিও ভাংচুর করে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মুজাম্মেলকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Post Views:
২০
|
|