প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » পিরোজপুরের ব্যাসকাঠী গ্রামে প্রায় শতাধীক লোক হাতে মুড়ি তৈরি করে জিবিকা নির্বাহ করছেন
Monday May 21, 2018 , 8:03 pm
সাধারন ক্রেতাদের মুখে বিষ তুলে দেওয়ার মতো পদার্থ (হাইড্রোজ) মিশিয়ে চিকন মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত কারিগরা
পিরোজপুরের ব্যাসকাঠী গ্রামে প্রায় শতাধীক লোক হাতে মুড়ি তৈরি করে জিবিকা নির্বাহ করছেন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র মাহে রমজানের সিয়ামসাধনার এই মাসকে রেখে পিরোজপুরের ব্যাসকাঠী গ্রামে হাতে ভাজা মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি তৈরীর কারিগরা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর চালের দাম বেশি থাকায় মুড়ি বিক্রি করে খুব একটা লাভবান হচ্ছেন না কারিগরা। কোন প্রকার কেমিক্যালের মিশ্রন না থাকায় সুস্বাদু হওয়াতে এ মুড়ির বিপুল চাহিদা থাকলেও চড়া সুদে ঋন নিয়ে এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছেনা মুড়ি ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অনেক মুনফা করার জন্য সাধারন ক্রেতাদের মুখে বিষ তুলে দেওয়ার মতো পদার্থ (হাইড্রোজ) মিশিয়ে চিকন মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মেশিন মালিকরা। হাতে ভাজা মুড়ির কারিগর মঞ্জু রানী সুতার,নয়ন সুতার বলেন, হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনে খরচ একটু বেশি। কিন্তু কারিগরদের দাবি মেশিনে (হাইড্রোজ) মিশিয়ে মুড়ি উৎপাদন করে তা কম দামে বাজারে বিক্রি করায় হাতে ভাজা মুড়ির সঠিক মূল্য পাচ্ছে না মালিকরা। রমজান মাসে মুড়ি উৎপাদন করে তা বিক্রি করে পুরো বছর জীবন জীবিকা নিবাহ করেন কারিগরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর মুড়ির দাম বেশি। যে মুড়ি রমজানের আগে বিক্রি হতো ৯০ থেকে ১০০ টাকায় রমজান মাসে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মুড়ি প্রস্তুত কারক কালা চাঁদ দাস, অভিনাস সুতার বলেন, মুড়ি তৈরিতে যে পরিমান শ্রম ব্যয় হয় সেই পরিমান আয় হয় না। হাইড্রোজ মেশানো মেশিনে ভাজা মুড়ি খেলে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। পুঁজির অভাবে অনেকেই ব্যবসা করতে পারছেন না। কারিগর ও মালিকদের সরকারের কাছে আবেদন অল্প সুদে ঋন দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। ৭ নং গুয়ারেখা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর বলেন, এ পেশার সাথে এ অঞ্চলের কয়েশ লোক জড়িত যারা মুড়ি ভেজে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।