এ গ্রামের প্রায় ২৫-৩০টির মতো পরিবার শীতল পাটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে
পিরোজপুরের কাউখালীর শীতল পাটির ঐতিহ্য অনেক পুরোনো
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের কাউখালীর শীতল পাটির ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পাটি বুনিয়েদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং শীতল পাটি তৈরীর প্রধান কাঁচামাল পাইত্রা ধ্বংসের কারণে এই ঐতিহ্যবাহী পাটি হারিয়ে যেতে বসেছে। উপজেলার সুবিদপুর গ্রাম এক সময় ছিল শীতল পাটির তৈরীর প্রধান ঘাটি। পাইত্রা উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ করে পাটি তৈরী হতো বলে এলাকার নাম ‘পাটিয়াল পাড়া’ আর পাটি উৎপাদনের নাম ‘পাটিকর’। এ গ্রামের অধিকাংশ নারী পুরুষ শীতল পাটি উৎপাদনে জড়িত ছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের পর পাটিকর সম্প্রদায়ের বড় অংশ দেশ ছেড়ে চলে যায়। যারা দেশের মায়া ত্যাগ করতে পারেনি ১৯৭১ সালে, তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। বর্তমানে এ গ্রামের প্রায় ২৫-৩০টির মতো পরিবার শীতল পাটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।