নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের কাউখালীতে মাদ্রাসার ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে প্রেরণ করা হয়। জানা গেছে উপজেলার চিরাপাড়া গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী আল আমিন হোসেন এর মেয়ে কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী হাদিয়া আক্তার (১৩) গত শনিবার বিকেলে এক অটো ড্রাইভার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে অটো রিকশা করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাগানে বসে রনি সহ তার আরও তিন সহযোগী বন্ধু রাতভর গণধর্ষন করে ভোরে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা জ্ঞান ফিরলে নিজে অটো করে বাড়িতে ফিরে এসে বাবা মার কাছে ঘটনা জানায়। গত তিনদিন ধরে ধর্ষকদের হুমকি ধামকির কারণে মেয়েটির পরিবার মামলা ও মুখ খুলতে সাহস পায়নি। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানাজানি হলে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ, চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে ধর্ষিতাকে গতকাল সোমবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে চিড়াপাড়া গ্রামের জিয়াদুল হক ও মামুন নামের দুই ব্যক্তি মেয়েটির বাবাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করার জন্য চাপ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, আমি রনি বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে জিয়াদুল হক ও মামুন মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। ওদের ভয়ে আমি মামলা করার সাহস পাইনি। এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষিতার বাবা আল আমিন হোসেন ৪জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।