সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এ বছর তরমুজ চাষীদের সংখ্যা কমে গেছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কমে গেছে তরমুজ চাষের জমি
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরমুজ চাষের জমি কমে গেছে। এর ফলে অনেক কৃষক বেকার অবস্থায় বসে রয়েছে। এ উপজেলায় গত বছর ১২’শ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিল। ওইসব চাষীরা ফলনও পেয়েছিল বাম্পার। এবছর মাত্র ১’শ ৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষীরা বীজ বপন করেছে। এছাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা ও কৃষকরা বোর আবাধের উপর ঝুঁকে পড়ায় তরমুজ চাষের জমি কমে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় একাধিক তরমুজ চাষীরা জানায়, এ উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে বিশাল এলাকা জুড়ে সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় জমি অনেকটাই কমে গেছে। তবে গত বছরের ভুলক্রটি শুধরে এ মৌসুমে ভালো ফলন ও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগে ভাগেই প্রায় সহ্রাধিক চাষীরা মাঠে নেমে পরেছে। ধানখালী, চম্পাপুর, ধুলাসার, লতাচাপলীসহ কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চাষীরা তরমুজ চাষ করে আসছে। ওইসব ক্ষেতে পানি সরবারহের জন্য অনেকে মাটি কিংবা বালু খুড়ে কুপ খনন করেছে। চাষীরা সেখান থেকে প্রতিদিন সকাল-বিকেল তাদের তরমুজ ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন। তবে এ বছর জমির মলিককে কড়া প্রতি একশ টাকা দিয়ে অনেক চাষী চাষাবাদ শুরু করেছে। তরমুজ এককালীন ফসল। লাভজনক হওয়ায় এ চাষের প্রতি অনেকেরই আগ্রহী রয়েছে। কিন্ত চাষের জমি কমে যাওয়ায় অনেকেই তরমুজ চাষ করতে পরেনি বলে চাষীরা জানিয়েছেন। উপজেলার ধানখালি ইউনিয়নের কৃষক মিলন সরদার জানান, দু’এক বছর আগেও এখানকার অধিকাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করা হত। এখন তাদের জমি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অধিগ্রহণ করে নিয়ে যাওয়ায় তরমুজ চাষাবাদ একেবারেই বন্ধ গেছে। এছাড়া এ এলাকার তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হতো বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, এবছর তরমুজ ক্ষেতে পানি সেচের কোন প্রকার অসুবিধা হবে না। ক্ষেতের যে কোন সমস্যা দেখা শোনার জন্য আমাদের মাঠ কর্মীরা কাজ করছে। তবে সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এ বছর তরমুজ চাষীদের সংখ্যা কমে গেছে বলে তিনি জানান।