Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার নভেম্বর ১২, ২০২৪ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » নৌকার ভরাডুবির আশংকায় বরিশাল-২ আসন! 
Wednesday November 21, 2018 , 12:57 pm
Print this E-mail this

“আঞ্চলিকতার ইস্যুতে” আওয়ামী লীগের এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে

নৌকার ভরাডুবির আশংকায় বরিশাল-২ আসন!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনটি আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় আবারও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে এমন শংকার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফন্ট থেকে তার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জনে এ আসনের নির্বাচনী রাজনীতিতে যেন নয়া মেরুকরনের সৃষ্টি হয়েছে।এছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য অপর প্রার্থী দানবীর খ্যাত এস. শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুও হেভিওয়েট প্রার্থী। বিএনপি নেতা এস শরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুর বাড়ি উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাঙ্গুরিয়া গ্রামে আর সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের লবনসাড়া গ্রামে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের বাড়ি অন্য নির্বাচনী এলাকার গৌরনদী উপজেলায়। এ অবস্থায় রাজনৈতিক অভিজ্ঞ সচেতন মহল ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মনে করছেন বিএনপির স্থাণীয় প্রার্থীর বিপরীতে স্থানীয় যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছেন তাদের মধ্য থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়ন না পেলে শুধুমাত্র “আঞ্চলিকতার ইস্যুতে” আওয়ামী লীগের এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আঞ্চলিকতা ইস্যুর পাশাপাশি দলীয় কোন্দল আওয়ামী লীগের জন্য সাপে বর হতে পারে। বানারীপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ১৯৯১ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও স্মরণে রেখেছেন। ৯১ সালের নির্বাচনে শুধু আঞ্চলিকতার ইস্যুতে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী তৎকালীণ দলের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু একজন সাবেক সাধারণ ইউপি সদস্যর সঙ্গে পরাজিত হয়েছিলেন। তাকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়া বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ শহীদুল হক জামাল এক সময় ইউপি সদস্য ছিলেন। অথচ ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি শাহে আলম কিংবা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকিরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে নৌকা যেমন বিজয়ী হতো তেমনী রাজনীতিতে সৈয়দ শহীদুল হক জামালের অবস্থান সৃষ্টি সা হওয়ার পাশাপাশি ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা-হামলা, হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হতে হতো না। এদিকে উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পিএস আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় জল্লা,সাতলা ও হারতা ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক সংখ্যালঘু ভোটারের মাঝে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যা আওয়ামী লীগের জন্য কালে বিষ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এবারের নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের পরিবর্তে মনোনয়ন চেয়ে স্থানীয় আরও ২১ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখার মতো বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম মনি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও শের-ই বাংলার দৌহিত্র এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু অন্যতম।




Archives
Image
আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ব্যাখ্যা দিলো জেনেভার স্থায়ী মিশন
Image
বরিশালে সাদিক আব্দুল্লাহসহ আ.লীগের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা
Image
ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেপ্তার
Image
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬৪ কর্মকর্তার বদলি-পদায়ন
Image
শফিক রেহমানও আওয়ামী ছোবল থেকে রক্ষা পাননি : রিজভী