প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » নানা সমস্যায় জর্জরিত বরিশালের জুবিলী সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়
Saturday July 28, 2018 , 8:41 pm
শিক্ষার্থীদের ক্লাশরুম রয়েছে, তবে এই ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বৃষ্টি নামলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে
নানা সমস্যায় জর্জরিত বরিশালের জুবিলী সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়
শামীম আহমেদ : ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং শ্রেণীকক্ষের সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৫৬ নং পাতারহাট জুবিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি সরেজমিন পরিদর্শন এবং শিক্ষকদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সোনামুখি এলাকায় ৫৯ শতাংশ নিজস্ব জমির উপর ১৯৭০ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দু’টি ভবন রয়েছে। এরমধ্যে ১৯৯৮ সালে দুই তলা বিশিষ্ট একটি এবং ২০০৫-৬ সালে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এছাড়া টিনশেটের একটি ঘর থাকলেও সেখানে পাঠদান করা সম্ভব না। দুইতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে শিক্ষক মিলনায়তন এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাশরুম রয়েছে। তবে এই ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর প্রতিটি দরজা, জানালা, খাম্বা এবং ক্লাশরুমের পয়েস্তারা খসে পড়ছে। অপরদিকে ২০০৫-৬ সালে নির্মিত একতলা ভবনটির অবস্থাও ভাল না। বৃষ্টি নামলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। তখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারেন না শিক্ষকরা। জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে এক ভূমিকম্পের কারনে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ জন্যই ভবনগুলো বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরিণত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫ শ। শ্রেণীকক্ষের সংকটের কারনে ঠাসাটাসি করে পাঠদান দিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। অপরদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে টয়লেট নির্মাণ করা হয়, যা অসম্পন্ন না করেই ঠিকাদার চলে গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে কিন্তু তারা আর কোন উদ্যোগ নেয়নি। এ সকল সমস্যার কথা জানিয়ে, পুরাতন ভবন সংস্কার এবং শিক্ষার্থী অনুপাতে একটি নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ’র কাছেও লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তাতেও কোন সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন ভবন নির্মাণ এবং টয়লেটের বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য, যাতে করে শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে তাদের শিক্ষা গ্রহন করতে পারে।