ধর্ষণের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মেহেদী আল মেরাজকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জজ মোঃ আবু শামীম আজাদ ওই নির্দেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী অজিবর রহমান জানান, কাশিপুর ইছাকাঠির বাসিন্দা আসমা আক্তার মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী কামাল হোসেন দুবাইতে চাকুরী করেন। ২০১৯ সনের ১ ফেব্রুয়ারী মেরাজের বসত ঘরে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতে শুরু করেন আসমা। বাদীর স্বামী বিদেশে থাকায় বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন এবং বিয়ে করবেন বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০১৯ সনের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাদীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মেরাজ। যার ফলে বাদীর গর্ভে সন্তান আসে। সন্তান আসার পর বিয়ে করতে বলা হলে বিভিন্ন কৌশলে দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেন মেরাজ। পরে আসামী বাদীকে বিয়ে করবেন বলে জানায়। এ ব্যাপারে ২০২০ সনের ১৩ অক্টোবর আসমা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সনের ৮ ডিসেম্বর মামলার চার্জর্শিট দেন বিমান বন্দর এস আই মোস্তাফিজুর রহমান। আসামি হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নেন। বৃহস্পতিবার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামি মেহেদী আল মেরাজ বর্তমানে ভোলার চরফ্যাশন সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।