Current Bangladesh Time
সোমবার মার্চ ১৭, ২০২৫ ৮:২৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » তৃনমূলেও ষড়যন্ত্রের নেটওয়ার্ক ছিলো : খান আলতাফ হোসেন ভুলু 
Friday August 18, 2017 , 9:17 pm
Print this E-mail this

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি; মনে হয়েছিলো জাসদের স্টান্ডবাজী : ভুলু

তৃনমূলেও ষড়যন্ত্রের নেটওয়ার্ক ছিলো : খান আলতাফ হোসেন ভুলু


আলম রায়হান : ইতিহাসের ঘৃন্যতম ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের দেড় ঘন্টার মধ্যেই বরিশাল শহরে “আনন্দ মিছিল” বের হয়।সেদিন একই সময় আনন্দ মিছিল বের হয়েছিলো বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ সদরে এবং পটুয়াখালী শহরে।এ থেকে প্রমানিত হয়, ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের খলনায়করা তৃনমূল পর্যায়েও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলো।একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ছয় দফা আন্দোলন থেকে বেড়ে ওঠা প্রবীন রাজনীতিক কৃষক লীগের সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু।সেদিনের কলংকের আঁধার রাতে হত্যাকান্ডের নৃশংস ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে খান আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, ভোর বেলা রেডিওতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি; মনে হয়েছিলো জাসদের স্টান্ডবাজী।কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার ভুল ভাঙ্গে।সঙ্গে সঙ্গে লাইসেন্স করা রিভলবার নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।কিছুক্ষণের মধ্যে আওয়ামী লীগ অফিসে প্রায় ১০/১২ জন সমবেত হই।হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আমরা মিছিল বের করি।কিন্তু খুনীদের পক্ষের বিশাল মিছিলের মুখে পড়ে অমাদের ক্ষুদ্র মিছিলটি ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়; আমরা বাটার গলিতে আত্মগোপন করি।অ্যাডভোকেট ভুলু বলেন, সেদিন বরিশালে খুনী মোশতাকের পক্ষে মিছিলে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন এখন সংসদের গুরুত্বপূর্ন পদে বসে দাঁত বের করে হাসেন! খুনিদের পক্ষে অপর এক মিছিলে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের একজন এখন পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ন পদে রয়েছেন।এরা হচ্ছ অওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বর্নচোরা।সুযোগ পেলে এরা আবার আসল রূপে আবিরভূত হবে!অর্ধ শত বছরের রাজনৈতিক জীবন পেরিয়ে আসা খান আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, যে ষড়যন্ত্র ঢাকায় কার্যকর করা হয়েছে তার পক্ষে প্রস্তুতি গ্রাসরুট পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা  হয়েছিলো।সেদিন ভোরে বরিশালে খুনী মোশতাকের পক্ষে মিছিল বের হয়েছিলো বগুরা রোডের পেশকার বাড়ি থেকে।পাঁচ শতাধিক লোকের এ মিছিল পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া বের করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন খান আলতাফ হোসেন ভুলু।এদিকে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে নেপথ্য নায়কদের পালিয়ে যবারও প্রস্তুতি ছিলো।ষড়ন্ত্রকারীদের চারজনের একটি গ্রুপ অবস্থন করছিলো ধানমন্ডীর একটি বাসায়।সেখানে ছিলেন শাহ মোয়াজ্জম হোসেন, কে এম ওবায়দুর রহমান, নূরুল ইসলাম মঞ্জু ও ব্যারিস্টার কাম প্লেবয় এক রাজনীতিক।সু-পিতার কু-পুত্র প্লেবয় এ রাজনীতিক ১/১১-এর ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন; এখনো সে টেলিভিশন টক শোতে জাতিকে জ্ঞান দান করেন!সেদিন বরিশালের রাজনীতিতে বিভাজন প্রসঙ্গ এক প্রশ্নের জবাবে খান আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, সেদিন বরিশালের ছাত্র ও শ্রমিকরা ছিলো আমির হোসেন আমুর নিয়ন্ত্রনে এবং আওয়ামী লীগ ছিলো নূরুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে।এদিকে ন্যাপ থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী আবদুর রব সেরনিয়াবাতকে মন্ত্রী করায় বিদ্রোহী হয় নূরুল ইসলাম মঞ্জু গ্রুপ তথা পুরনো আওয়ামী লীগাররা।সব মিলিয়ে সেদিন বরিশালে আওয়ামী রাজনীতির বিভাজন ছিলো স্পষ্ট।যা খন্দকার মোশতাকের পক্ষের লোকদের অপকর্ম সহজ করেছে।বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে ১৫ আগস্ট ভোরে যে রিভলবার নিয়ে খান আলতাফ হোসেন ভুলু বেরিয়ে পড়েছিলেন সেই রিভলবার নিয়েই তিনি গ্রেফতার হন একদিন পর ১৭ আগস্ট।এর আগে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে গ্রেফতার হন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন “পূর্ব বাঙলা রুখে দাড়াও” শিরোনামের দশ হাজার লিফলেট নিয়ে।উল্লেখ্য, ছয় দফা আন্দোলনে কারাভোগকারীদের মধ্যে একমাত্র জীবিত আছেন খান আলতাফ হোসেন ভুলু।তিনি বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এর পর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও আবার হারান বরিশালে পরিবারতন্ত্রের আগ্রাসনের শিকার হয়ে!আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরিণ রাজনীতিতে তিনি বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হন বলে মনে করেন বরিশালের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।

 




Archives
Image
জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
Image
‘ধর্ষণ’ শব্দ না ব্যবহারের পরামর্শ : ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
Image
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ১২ কারখানায় ছুটি
Image
সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমিও : নরেন্দ্র মোদি
Image
মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার