|
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাসের যাত্রীদের লঞ্চ পারাপার করে আবার গ্রীনলাইনের বাসে তোলা হবে
ঢাকা-বরিশাল সড়কপথে অত্যাধুনিক গ্রীনলাইন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের আগেই ঢাকা থেকে বরিশাল সড়কপথে রুট বিস্মৃত করেছে গ্রীনলাইন পরিবহন। অত্যাধুনিক ম্যান হাইডেকার, স্কেনিয়া বাস দিয়ে ঢাকা থেকে দিনে চারটি বাস বরিশালে যাত্রী পরিবহন করবে। রবিবার বিকেলে বরিশালে গ্রীনলাইন পরিবহনের ঢাকা-বরিশাল রুট উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গ্রীনলাইন লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপারের পর ওপারে অপেক্ষামান গ্রীনলাইনের বাসের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করা হবে। ৪০ সিটের অত্যাধুনিক বাসে প্রতিটি আসনের ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে আটশ’ টাকা। সূত্রে আরও জানা গেছে, দিনের প্রথম বাস ছাড়বে সকাল সাতটায়, এরপর সকাল ১০টা এবং পরে দুপুর আড়াইটায় ও শেষ বাস বিকেল চারটায় রাজারবাগ গ্রীনলাইন বাস কাউন্টার থেকে ছেড়ে যাবে। গ্রীনলাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার বলেন, বরিশালে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাসের যাত্রীদের লঞ্চ পারাপার করে আবার গ্রীনলাইনের বাসে তোলা হবে। আগের যেকোন বাস সার্ভিসের চেয়ে আরও আধুনিক ও আরামদায়ক সেবা দিতে তারা জার্মানির ম্যান ব্রান্ডের হাই ডেকার বাস দিয়ে এ সেবা দেবেন। এছাড়া স্কেনিয়া ভলবো বাসও চলবে ঢাকা-বরিশাল রুটে। তিনি আরও বলেন, কাউন্টার ছাড়াও অনলাইনে পরিবহন.কম থেকে কাটা যাবে গ্রীনলাইন বাসের যেকোন টিকিট। দেশের সড়কপথে বিলাসবহুল একের পর এক বহর যুক্ত করে চলেছে গ্রীনলাইন। তাদের নতুন রুট বরিশাল ছাড়াও গত ১৭ এপ্রিল চালু হয়েছে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা কক্সবাজার ডবল ডেকার বাস সার্ভিস। প্রায় ২০টি ডবল ডেকার বাস দিয়ে দেশের সড়কপথে নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে গ্রীনলাইন। তাদের ছয়টি ডবল ডেকার ঢাকা-সিলেট এবং বাকি চারটি ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলছে। বাকিগুলো চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। ১৯৯০ সালে গ্রীনলাইন পরিবহন বাংলাদেশে হিনো এসি বাসের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রা শুরু করে। এরপর কক্সবাজার, বেনাপোল, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা রুটে উন্নত যাত্রীসেবা নিয়ে আসে গ্রীনলাইন। ২০০৩ সালে ভলভো এবং ২০০৫ সালে স্ক্যানিয়ার বিলাসবহুল এসি বাস আমদানী করে গ্রীন লাইন পরিবহন। ২০১৩ সাল থেকে দুরপাল্লার যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য গ্রীনলাইন পরিবহন স্লিপার কোচের যাত্রীসেবা শুরু করে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সাল থেকে গ্রীনলাইন নৌ-পথে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সি সার্ভে ক্লাস্ড এয়ার কন্ডিশন্ড ফাইভার ক্যাটামেরান প্যাসেঞ্জার ভেসেল এমভি গ্রীন লাইন-১ টেকনাফ-সেন্টমার্টিনস রুটে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে ৬০০ আসন বিশিষ্ট অপর দুটি এয়ার কন্ডিশন্ড ক্যাটামেরান প্যাসেঞ্জার ভেসেল এমভি গ্রীন লাইন-২ ও এমভি গ্রীন লাইন-৩ ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রীসেবায় যোগ হয়। সবশেষ সড়কপথে গ্রীনলাইনের রয়েছে প্রায় আড়াইশ’ গাড়ির বহর।
Post Views:
৯৫২
|
|