দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রসাশনের কাছে জোর দাবি
ঢাকার ধামরাইয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিভাগের ধামরাইয়ে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হাজী আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দখলের তাণ্ডব চালায়। তা দেখে আতঙ্কে প্রতিবেশী প্রদীপ চক্রবর্তীর (৪৫) মৃত্যু হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে কুটিরচর গ্রামের প্রভাবশালী কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজি আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কার্তিক মনিদাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মা আরতি মনিদাস, শাশুড়ি সোনা মনিদাস ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে কনিকা মনিদাসকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর বসত ঘর ও একটি দোকান ভেঙে তছনছ করে দখল করে নেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর সেখানে ইট দিয়ে প্রাচীর দিয়ে দখল করে নেন আজিজ। দখলের তাণ্ডব দেখে কার্তিকের প্রতিবেশী মুদি দোকানদার প্রদীপ চক্রবর্তী (৪৫) হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। এর আগে কার্তিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে আজিজের ছেলে জাহিদুল ইসলাম। এ মামলায় সোমবার রাতে কার্তিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। নিহতের ভাই বিজয় চক্রবর্তী জানায়, দখলের তাণ্ডবলীলা দেখেছে আমার ভাই। এরপর তার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। তাৎক্ষণিক সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কার্তিকের স্ত্রী রিনা মনিদাস জানায়, তার স্বামীকে জামিন করাতে বৃহস্পতিবার আদালতে যায়। এ সুযোগে আজিজ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার মা-শাশুড়ি, তিন শিশু মেয়েদের মারপিট করে বাড়িঘর দখল করে নেয়। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন নিয়ে গতকাল শুক্রবার জেলখানা থেকে বের হয় কার্তিক। কার্তিক জানায়, আমার নিজ নামের জমি আজিজের কাছে বিক্রি করেছি যা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।কিন্তু আমার বসতবাড়ি ভিপি সম্পত্তি তো বিক্রি করি নাই, এরপরও ওই ভিপি সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে আজিজ। এলাকাবাসী এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রসাশনের কাছে জোর দাবি জানায়।