মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিতর্কিত সাংবাদিক শামীম আহসান ওরফে মো: শামীম আহসান শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৬ ডিসেম্বর রাতে কোতোয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মামলার ধরণ অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত শামীমের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ন্যাক্কারজনক পোস্ট দেয়ায় বিতর্কিত সাংবাদিক শামীমের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বরিশালের দৈনিক আজকের বার্তা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাষ্ট্রের পক্ষে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’র ২৫ ও ৩১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, শামীম আহসান ওরফে মো: শামীম আহসান শেখ একজন গুজব রটনাকারী, মৌলবাদী সংগঠনের সমর্থক ও দেশদ্রোহী ব্যক্তি। সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে অসম্মান করে রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষুণ্ন করা বিতর্কিত সাংবাদিক শামীমের নেশা ও পেশা। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি শামীম আহসান গণতান্ত্রিক সরকারের বর্তমান মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে কুৎসা, কটুক্তি রটনা করে দেশ এবং বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শামীম তার ফেসবুক ওয়ালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে কটুক্তি করে ন্যাক্কারজনক পোস্ট দেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের পরপরই বিভিন্ন ব্যক্তি কমেন্টের মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। পাশাপাশি স্ট্যাটাসদাতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তারা। শামীমের এধরনের স্ট্যাটাসে বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন সরকার ও রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর লেখনী ইন্টারনেটে বাংলাদেশসহ বর্হিবিশ্বের লাখ লাখ লোক দেখেছেন ও পড়েছেন। ফলে ডিজিটাল বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য সম্প্রচারে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং আইনশৃংখলার অবনতি ঘটার উপক্রম হয়। শামীম এর পূর্বেও বহু খ্যাতনামা বর্ষীয়ান সাংবাদিকসহ অন্যান্য গুণী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।