প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » ঝালকাঠী জেলা মহিলালীগের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্যের মর্যদা পেলেন শারমিন মৌসুমি কেকা
Tuesday October 3, 2017 , 7:56 pm
দলে সফলতা অর্জন করতে গিয়ে দলের ভিতর অনেকের সাথে রাজনৈতিক লড়াই করতে হয়েছে,দিতে হয়েছে প্রচুর শ্রম
ঝালকাঠী জেলা মহিলালীগের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্যের মর্যদা পেলেন শারমিন মৌসুমি কেকা
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : শারমিন মৌসুমি কেকা ঝালকাঠী জেলা মহিলালীগের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য পদমর্যদার আসনে উত্তীর্ণ হলেন বরিশাল বিভাগের মহিলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠা শারমিন মৌসুমি কেকা।রাজনীতিতে দীর্ঘ শ্রম দলের প্রয়োজনে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়া সেই বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে সব সময় অগ্রভাগে থেকে দলের হয়ে কাজ করায় ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে সফলতার রাজনীতির আলোর মুখে আরো আলোকিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কেকা।জানা গেছে,২০০১ সালে বরিশাল বিএম কলেজ শাখার ছাত্রলীগ করার পাশাপাশি ঝালকাঠী ছাত্রলীগ কল্যান পরিষদের আহবায়কের দায়ীত্ব পালন করেন।যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দলের হয়ে কাজ করার সুবাদে দল তাকে ২০০৩ সালে বরিশাল জেলা যুব মহিলালীগের সাধারন সম্পাদিকার আসনের দায়িত্ব প্রদান করে জেলা কমিটি।শুরু করেন রাজনীতিতে আরো এগিয়ে যাবার লড়াই।তার প্রতিটি লড়াইয়ে আর শ্রম দিয়ে ধীরে ধীরে শুধু বরিশাল জেলা নয় যুব মহিলালীগকে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার প্রতিটি উপজেলায় যুব মহিলালীগকে তৈরী করার সাথে সাথে সু-সংগঠিতভাবে গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় কমিটিকে উপহার দেন।২০০৪ সালে বরিশাল বিভাগে মহিলা যুবলীগকে প্রতিষ্ঠার জন্য সাংগঠনিকের দায়ীত্ব কাধে নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে।সেই থেকে নতুন করে শুরু করেন দলের অঙ্গ সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষে মহিলা যুবলীগকে সামনের কাতারে রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম দেয়ার জন্য কেকা সেই সফলতার ও আলোর মুখ দেখতে পান।গঠন করতে সক্ষম হন সকল জেলায় যুব মহিলালীগের কমিটি।দলের হয়ে তাকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি।সুপ্ত বাসনা ছিল শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।দলে সফলতা অর্জন করতে গিয়ে দলের ভিতর অনেকের সাথে রাজনৈতিক লড়াই করতে হয়েছে,দিতে হয়েছে প্রচুর শ্রম।সফলতার আলো তাকে যেন ঘিরে রাখতে চায়।তাই কোন অন্ধকার শক্তি পিছু টেনে যেন রাখতে পারছে না তাকে।২০০৪ সালের একই বছর কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগে সদস্য পদ তাকে দেয়া হয় উপহার।চিন্তা-সাধনা আর চেষ্ঠা থাকলে মানুষ যে কখনো পিছনে পড়ে থাকে না তার প্রমাণ ‘কেকা’।সে কখনো নিজেকে কোন অপশক্তির কাছে মাথ নত করেননি।২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকারের সময় বরিশালে মিছিল করার মত যখন কেউ ছিল না,তখন সাবেক মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক জিয়াকে সাথে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বরিশাল নগরীতে মিছিল বের করে এক নজির সৃষ্টি করেছিলেন।২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাষন আমলে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গ্রেফতারও হতে হয় তাকে পুলিশের হাতে।পরবর্তীতে তিনি বরিশাল জেলা যুব মহিলালীগের সাধারন সম্পাদিকার পাশাপাশি ২০১৬ সালে ঝালকাঠী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ লাভ করেন।২০১৬ সালের একই বছর ঝালকাঠী পৌর মেয়র নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মেয়র প্রার্থী পদ থেকেও তিনি সরে দাঁড়ান।দলীয় রাজনৈতিক অভিভাবক এক সময়ের তুখোর মাঠ কাঁপানো ছাত্রনেতা বর্তমান সরকারে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কথার সম্মান রেখে কেকা তার প্রার্থীতার পদ প্রত্যাহার করে নেন।এতে আরো দলের ভিতর জনপ্রিয়তার অর্জন করার পাশাপাশি তার রাজনৈতিক জীবনে এগিয়ে নিয়ে যায় আরো এক ধাপ।২০১৬ সালে জেলা পরিষদ সদস্য পদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে এক অন্যান্য রেকর্ড সৃষ্টি করে যুব মহিলালীগকে গর্বিত করে তোলেন।এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ই সেপ্টম্বর ঝালকাঠী জেলা মহিলালীগে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলে সেখানে দীর্ঘ দলের হয়ে ত্যাগ করার অবদান আর যোগ্য বিচারে শারমীন মৌসুমি কেকা হয়ে যায় আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য।