Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার জুলাই ১৫, ২০২৫ ২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ঝালকাঠিতে ১০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে গুরুতর জখমের অভিযোগে শিক্ষক আটক 
Sunday August 8, 2021 , 9:40 pm
Print this E-mail this

সরকারের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী এলাকাবাসীর

ঝালকাঠিতে ১০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে গুরুতর জখমের অভিযোগে শিক্ষক আটক


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঝালকাঠিতে একটি হাফেজী মাদ্রাসায় ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে গুরুতর জখম করায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। গত শনিবার (আগষ্ট ৭) রাতে ঝালকাঠি সদরের পোনাবালিয়া গ্রামের কে খান হাফেজী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, করোনাকালীন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলো। শনিবার (আগষ্ট ৭) সকালে শিক্ষার্থীরা পড়া না পাড়ায় ও আস্তে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই মাদ্রাসার একমাত্র শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ একটি বেত নিয়ে কক্ষের দরজা আটকে ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জনকে বেদম প্রহার করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। মাগরিবের নামাজের সময় পিছন থেকে সুকৌশলে নলছিটি উপজেলার বারৈকরন গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ সিয়াম (৯) পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পোনাবালিয়া বাজারে গেলে এলাকাবাসী বিষয়টি অবহিত হয়। এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মোরশেদ খানকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত সকল শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অপরদিকে পোনাবালিয়া বাজারের অন্ততঃ দুই শতাধিক ব্যক্তি মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে এবং গুরুতর জখম চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিশু সিয়ামকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত অপর শিক্ষার্থীরা যে যার বাড়িতে চলে যায়। খবর পেয়ে রাতেই ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ ওই মাদ্রাসায় এসে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে গেছে। রাতেই নির্যাতনের শিকার শিশুর পিতা বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।  শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং সরকারের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা বার বার দুষ্টুমি করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ৭/৮ জনকে পিটিয়েছেন। করোনাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তিনি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদ খানের অনুমতি সাপেক্ষে মাদ্রাসা চালু রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।




Archives
Image
বেনজীরের যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়ার সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Image
আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন-পিরোজপুরে নাহিদ ইসলাম
Image
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা : একাই দুই আসনে লড়বেন ফয়জুল করীম
Image
বরিশালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
Image
তথ্য ফাঁসের অভিযোগ, বরিশালে ডিবি কনস্টেবল ফারুক ক্লোজড