৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জেবুন্নেছা আফরোজের প্রচেষ্টায় কীর্তনখোলার ভাঙন রক্ষা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : অবশেষে বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের প্রচেষ্টায় আনুমোদন দেয়া হলো ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল জেলার সদর উপজেলায় কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্প।মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জনগনকে দেয়া আশ্বাস অনুযায়ী দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রকল্পটির অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করেছেন সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ।এমনকি জাতীয় সংসদেও একাধিকবার বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন তিনি।এর সাথে বিভিন্ন দপ্তরেও ধর্ণা ধরেছেন বেশ কয়েকবার।মঙ্গলবার প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ায় তাকেসহ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চরবাড়িয়াবাসী।জানা গেছে,দীর্ঘ দিন ধরে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হয় চরকাউয়াসহ চরবাড়িয়ার মানুষ।এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ।এসময় তিনি নদী ভাঙন রোধে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।সাথে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ প্রকল্পে চালুর নির্দেশ দেন।এতে সাময়িক ভাবে নদী ভাঙন রোধ হয়।ওই সময় নদী ভাঙন থেকে চরবাড়িয়া রক্ষায় জনগণকে আশ্বাস দেন।সে অনুযায়ী সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ’র নির্দেশ অনুযায়ী চরবাড়ীয়া রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পের পরিকল্পনা হাতে নেয় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড।বরিশাল নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ৩৮০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়।আর সেখান থেকে কাটছাট করে প্রকল্প ব্যায় নির্ধারণ করা হয় ৩৩১ কোটি টাকা।প্রকল্প অনুযায়ী কীতর্নখোলা নদীতীরের ৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে।নগরীর বেলতলা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু করে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নসহ শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পর্যন্ত এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে।এর আগে এই প্রকল্পটি ফাইল নানান কারণে দীর্ঘ দিন আটকে ছিলো।এই মধ্যে কীর্তনখোলা ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যায় ফসলি জমি,শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি।দিন দিন ভাঙন বাড়তে থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ।নদীতে বিলীন হওয়ার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।এই অবস্থায় সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ প্রকল্পটি ব্যায় অনুমোদনের জন্য একাধিকবার জাতীয় সংসদে চরবাড়ীয়াবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।তখন প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দেন পানি ও নৌমন্ত্রী।পরবর্তিতে ফাইলটি আটকে থাকে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে।সেখানেও চিঠি চালাচালি করেছেন তিনি।গত মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ায় একনেক চেয়্যারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ বলেন,আজকের এই যুগান্তকারী প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়ার মধ্যদিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আবারো প্রমাণ করলো তিনি বিপদগামী জনগনের পাশে আছেন।যখনই এ দেশের মানুষ বিপদে পড়েন তখনই তাদের পাশে দাড়ান তিনি।সাথে বরিশালের উন্নয়নে তিনি বদ্ধপরিকর।তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে।