|
১০০ নদীর জল সংগ্রহ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি বৃক্ষরোপন করার খুব ইচ্ছা তার
জীবনানন্দকে খুঁজতে সাইকেল চালিয়ে বরিশালে ভারতের কৃষ্ণেন্দু বেরা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সে-ই ১২ বছর বয়সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মা দীপ্তি বেরার কাছে কতো না শুনেছি জীবনানন্দ দাশের কবিতা। সেই থেকে জীবনানন্দ দাশের লেখা অনেক কবিতা পড়েছি। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিলো কবির জন্মভিটা দেখতে যাবো। একবার হলেও ধানসিঁড়ি নদীর পড়শ ছুঁয়ে দেখবো। আর তাই জীবনানন্দের টানে ছুটে আসা এই বরিশালে। সাইকেল চালিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর থেকে বরিশালে জীবনানন্দ দাশের বাড়ি দেখতে চলে এসেছেন কৃষ্ণেন্দু বেরা। কবির প্রতি এমন ভালোবাসার কথাই জানালেন তিনি। যদিও তারা পাঁচ বন্ধু মিলে ‘বিষ্ণ উষ্ণয়ানের বিরুদ্ধে গাছ লাগান, কন্যা সন্তানকে বাঁচান এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসুন’-এসব স্লোগান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাইকেলযোগে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেন। যাত্রার শুরতেই মনস্থির করেন কবির জন্মভিটা দেখার। ভ্রমণ পিয়াসী কৃষ্ণেন্দু বেরা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে এর আগেও তিনি ৬/৭ বার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি গত ৩ আগস্ট চার বন্ধুর সঙ্গে রওনা দিয়ে ১১ আগস্ট বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অতিক্রম করে নড়াইল-কালিয়া-টুঙ্গীপাড়া মাওয়া হয়ে ঢাকায় পৌঁছান। পরে ঢাকা থেকে অন্য সবাই ফিরে গেলেও কৃষ্ণেন্দু বেরা জীবনানন্দ দাশের বাড়ি দেখবেন বলে বরিশালে ছুটে আসেন। শুক্রবার বিকেলে বরিশালে পৌঁছে সকালে নগরের জীবনানন্দ দাশ সড়কে অবস্থিত জীবনানন্দের বাড়িতে যান। এসময় তিনি মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের বাড়িতেও যান। বসেছিলেন তমাল তলায়, যেখানে মহাত্মা গান্ধী এসেছিলেন। গিয়েছেন মনোরমা বসু মাসীমার মাতৃ মন্দিরে, রামকৃষ্ণ মিশনেও। বাংলাদেশের সব কিছু তাকে মুগ্ধ করলেও জীবনানন্দের বাড়িতে গিয়ে বেশ হতাশ হয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আবেগতাড়িত করে। কিন্তু যেই জীবনানন্দ দাশের বই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেখছেন, পড়ছেন। তার বাড়িতে শুধু গেট ছাড়া আর কিছুই নেই। আবার তার নামের লাইব্রেরীতে সম-সাময়িক কিছুই নেই। আসলেই এগুলো সত্যিই খুব দুঃখজনক। শনিবার (২৫ আগস্ট) কবির স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদী তিনি দেখতে যাবেন। এছাড়া সাইকেল চালিয়ে বার্মা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণেন্দু বেরা। তার খুব ইচ্ছা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ১০০ নদীর জল সংগ্রহ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একটি বৃক্ষরোপন করার।
Post Views:
০
|
|