|
আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে নগরীর চারদিকে
জায়গা সংকটের কারণে বরিশাল নগরের বর্জ্য পরিষ্কার বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) ডাম্পিং স্টেশনের ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় নগরের বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে।মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ দেখা গেছে।আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে নগরীর চারদিকে।দুপুরে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পক্ষ থেকে কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হলেও ময়লা অপসারণের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিছন্নতা কর্মকর্তা, দিপক লাল মৃধা।তিনি জানান, কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলেও নগরবাসীকে তো দুর্ভোগে ফেলা যাবে না।নতুন একটি জায়গা দেখা হচ্ছে।খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।এদিকে বিসিসি’র পরিছন্নতা বিভাগের ট্রাক চালকরা জানিয়েছেন, বিসিসি’র নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনের ময়লা ফেলার কোনো জায়গা নেই।পাশাপাশি ডাম্পিং স্টেশনের প্রবেশপথ বর্জ্যের কারণে আটকে গেছে।তাই ট্রাক ভেতরে নেওয়া যাচ্ছে না।এ অবস্থায় নগরী থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ট্রাক বোঝাই করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।কিন্তু বর্জ্যগুলো ট্রাকে রাখলেও নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়বে।তাই তারা বর্জ্য সংগ্রহ করেননি।বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা ওয়ার্ডগুলোর ছোট-ছোট লেন থেকে ময়লা সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রেখেছেন।কিন্তু ট্রাক ময়লা না নেওয়ার দুপুর পর্যন্ত সেখানেই ময়লাগুলো পড়ে রয়েছে।বর্জ্য ফেলার বিকল্প স্থান দেওয়া হলে দ্রুত নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হবে।বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের শেষের দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়ার পুরানপাড়া, হোসনাবাদ, কাউনিয়া ও সাপানিয়া সংযোগ এলাকায় ছয় একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয় ডাম্পিং স্টেশন।ওই সময়ে স্টেশনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে একটি টিনের চালাসহ একটি চুল্লি নির্মান করা হয়েছিলো, যা কিছুদিন পরেই বিকল হয়ে যায়।পাশাপাশি বর্জ্য আধুনিক পদ্ধততিতে রিসাইক্লিনিং করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ ১ যুগের বেশি সময় ধরে ময়লা ফেলতে ফেলতে এলাকাটি ময়লার স্তুপে ভরে গেছে।এ বিষয়ে বিসিসি’র পরিছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, প্রতিদিন নগরীর ৩০টি ওয়ার্ড থেকে ১শ’ টনের মতো বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্টেশনটিতে ফেলা হয়।কিন্তু ওই পরিমাণ বর্জ্য ধ্বংস করার জন্য সেখানে আধুনিক ব্যবস্থা নেই।বর্জ্য মাঝে মধ্যে পুড়িয়ে ফেলা হলেও কঠিন পদার্থগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি।এখন তো সেখানে ময়লার গাড়িই ঢুকতে পারছে না, তাই ট্রাকচালকরাও নগরীর বর্জ্য ট্রাকে তুলছে না।এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বৈঠক হয়েছে।আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিকল্প স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post Views:
৪৮
|
|