শুক্রবারের হাটে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রী হয়
জমে উঠেছে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর গো-হাট
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বানারীপাড়া উপজেলাধীন সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বরিশাল জেলার বৃহৎ গো-হাট জমে উঠেছে। গত শুক্রবার লক্ষ্য করা গেছে বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে কুরবানীর গরু কিনতে ক্রেতার উপচে পড়া ভীড়। তবে সলিয়াবাকপুর গো-হাটের ইজারাদার মোরশেদ আলম মিলন বলেন, ক্রেতা সমাগম থাকলেও বিক্রী আশানারুপ হয়নি। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন, ঈদের বাকী এখনো ৬ দিন। অনেকেই এই ৬ দিন গরু কোথায় রাখবে কি খাওয়াবে সে চিন্তা করেই শুধুমাত্র আজকের হাটে দাম যাচাই করতে এসেছে। বিগত বছরের তুলনায় দাম কম না বেশী এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দামের ব্যাপার অনেকটাই ক্রেতার চাহিদার উপর নির্ভর করে, তবে গত বছরের তুলনায় দাম আজকের হাটে বেশী না। আগামী হাটের কথা এখন বলা যাবে না। সলিয়া বাকপুর গো-হাটে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারী আসে গরু বিক্রী করতে। তবে এখানে কুষ্টিয়া, ঝিনইদাহ ও যশোরের ব্যাপারী বেশী দেখা যায়। শুক্রবারের হাটে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রী হয়। তবে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গরু ছিল। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক মিন্টু হাটে উপস্থিত হলে হাটের নিরাপত্তার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের এই হাটে ক্রেতাদের ১০০% নিরাপত্তার ব্যাবস্থা আছে। এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, জাল টাকা চেক করার মেশিন আছে, প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ প্রত্যেকটি বিক্রিত গরু পরীক্ষা করেন। তাছাড়া আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা হাটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টহলে থাকেন এবং বিশেষ প্রয়োজনে আমার পরিষদের চকিদারদেরকেও এখানে নিরাপত্তার জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। শুক্রবারের হাটে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমান হাটের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা যাচাই করতে আসেন এবং তিনি হাটের ইজারাদার মোরশেদ আলম মিলনের কাছে কোন অসুবিধা আছে কিনা জানতে চায়। ইজারাদার বলেন, আজকের হাটের চেয়ে আগামী সোমবারের হাটে ক্রেতা সমাগম আরো বেশী হতে পারে তখন আইন শৃংখলা বাহীনির সদস্য একটু বাড়াতে হতে পারে। তবে আমার হাটের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করতে আমি হাটের চারিদিকে স্বেচ্ছাসেবক রেখেছি। এরপরও যদি কোন সমস্যা মনে করি সাথে সাথে আপনাকে অবহিত করব।