Current Bangladesh Time
শনিবার সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নয়ন নমুনা, পাঁচ কোটি টাকার কাজে বিল উত্তোলন ১১ কোটি! 
Tuesday July 5, 2022 , 11:35 pm
Print this E-mail this

আইএমইডি’র প্রতিবেদনে যদি অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য আসে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে-পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নয়ন নমুনা, পাঁচ কোটি টাকার কাজে বিল উত্তোলন ১১ কোটি!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সম্প্রতি ‘পটুয়াখালী জেলাধীন কুয়াকাটা পৌরসভায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরসভার জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রকল্প কমপ্লিমেন্টেশন রিপোর্ট (পিসিআর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। আইএমইডি’র ওই রিপোর্টে পাঁচ কোটি টাকার কাজে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ের চিত্র উঠে এসেছে। পাইপ লাইন স্থাপনে ডিপিপি’র সংস্থান ছিল তিন কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যার বিপরীতে ব্যয় হয়েছে চার কোটি সাত লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ডিপিপি’র সংস্থান অপেক্ষা ১৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। আইএমইডি’র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটি প্রথমে জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কাজ শেষ করতে না পারায় ব্যয় বাড়ানো ছাড়া মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ওই সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এরপর আবারও ব্যয় বাড়ানো ব্যতিরেকে মেয়াদ জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ১০০ ভাগ বাড়ানো হলেও মেয়াদ শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৩৫ শতাংশেরও কম। আইএমইডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ১৩ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেনের জন্য ডিপিপিতে সংস্থান ছিল ১৩ কোটি এক লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় দেখা গেছে, ১৩ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেনের মধ্যে মাত্র ৫.০২ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু পাঁচ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের বিপরীতে বিল দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৩৮.৬৩ শতাংশ কাজ করে পিডি বিল তুলেছেন ৮৪ শতাংশ। প্রকল্পটির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল কুয়াকাটা পৌরসভায় বসবাসকারী জনগণের জন্য খাবার ও গৃহস্থালি কাজের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, কুয়াকাটা পৌরসভায় পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং পৌরসভার দর্শনীয় স্থানসমূহে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা। প্রকল্পের লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিপিপিতে সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও ইনটেক স্ট্রাকচার নির্মাণে সংস্থান রাখা হয়। এ দুটি অঙ্গের মাধ্যমে পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু আইএমইডি’র বিশ্লেষণে বলা হয়, অঙ্গ দুটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া ওয়াটার মিটারসহ গৃহ সংযোগ করার কথা ছিল এক হাজার ৬০০টি। কিন্তু পানি সরবরাহ ব্যতীত সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে ৫৮০টি। ফলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম সহিদুল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়রের খাস জমি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জমি দিতে পারেননি। খাস জমির ওপরই আমাদের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের কথা ছিল। মেয়র অনেক চেষ্টা করেও দিতে না পারায় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। পাঁচ কোটি টাকার ড্রেন নির্মাণ করে ১০ কোটি টাকা কেন তুলেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাঁচ কোটি টাকায় পাঁচ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। ওই পাঁচ কিলোমিটার ড্রেনের ওপর স্লাব দেওয়া হয়েছে। মেয়রের চাহিদার কারণে স্লাবগুলো দেওয়া হয়েছে। আইএমইডি’র প্রতিবেদনে যদি অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য আসে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার কাছে প্রতিবেদনটা এখনও আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে—উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আইএমইডি’র প্রতিবেদনে যদি অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য আসে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার কাছে প্রতিবেদনটা এখনও আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।




Archives

Image
বরিশাল থেকে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ যাবে কলকাতায়
Image
ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সোচ্চার দেশের মানুষ : শিরিন
Image
বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষ : বৃদ্ধা নিহত, আহত ২৫
Image
পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া ঠেকাতে হটলাইন চালু
Image
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী