প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » ছুটিতে থাকা পুলিশ সদস্যের কাণ্ড : প্রকাশ্যে তরুণকে মারতে মারতে থানায়
Friday September 13, 2024 , 12:31 pm
যে কাজটি করেছেন, সেটা অবশ্যই নিয়মবহির্ভূত-ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী
ছুটিতে থাকা পুলিশ সদস্যের কাণ্ড : প্রকাশ্যে তরুণকে মারতে মারতে থানায়
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মামলার বাদী কিংবা সাক্ষী-কোনো কিছু না হয়েও ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে মারতে মারতে এক তরুণকে থানায় নিলেন কনস্টেবল হাসানুজ্জামান রাহাত। এর চেয়ে বড় কথা-এ কনস্টেবলের কর্মস্থল ভোলায়, ছুটিতে বরিশালে এসে এ ঘটনা ঘটান তিনি। বুধবার রাতের এ ঘটনা নিয়ে এখন বরিশালে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেন তিনি এ কাজটি করলেন, এর কোনো সঠিক জবাব যেমন দিতে পারেননি কনস্টেবল রাহাত, তেমনই বলতে পারছেন না বরিশাল কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তারা। বুধবার সন্ধ্যায় ফজলুল হক অ্যাভিনিউ সড়কের আদালতপাড়ায় বসে কথা বলছিলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের ওয়াজেদ আকনের ছেলে খান তুহিন ও তার বন্ধু। তাদের মধ্যে কয়েকদিন আগে তুহিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয় কোতোয়ালি থানায়। হঠাৎ করে বুধবার রাত ৯টায় কনস্টেবল রাহাত বিএনপি কর্মী আরিফ চৌকিদারকে নিয়ে কোর্ট কম্পাউন্ডে গিয়ে তুহিনকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপর কোর্ট কম্পাউন্ড থেকে মারতে মারতে সদর রোড হয়ে ১ কিলোমিটার দূরে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান রাহাত ও আরিফ চৌকিদার। তাদের সঙ্গে ছিলেন রফিকুল ইসলাম রিপন নামে একজন। তুহিনের শরীরে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। কোর্ট কম্পাউন্ড থেকে তুহিনকে ধরে নিয়ে থানায় যাওয়ার সময় কয়েকজন পথচারী আটকানোর চেষ্টা করলে নিজেকে পুলিশ ও তুহিনকে আসামি পরিচয় দিয়ে নিয়ে যান রাহাত। থানা সূত্র জানায়, নগরীর কলেজ রোডের বাসিন্দা বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রিপন ৫ আগস্টের পর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি খান তুহিন।ভুক্তভোগী তুহিন বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। তবুও ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে আমার একই এলাকার বাসিন্দা ভোলা জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাসানুজ্জামান রাহাত মামলায় জড়িয়ে দিয়ে আমাকে বরিশাল নগরীর কোর্ট কম্পাউন্ডে এসে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যান। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন একই গ্রামের আরিফ চৌকিদার ও মামলার বাদী রিপন।ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, রাহাত ভোলায় কর্মরত ছিলেন। ছয়দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগাদানের ছাড়পত্র নিয়েছে কনস্টেবল রাহাত। তিনি যে কাজটি করেছেন, সেটা অবশ্যই নিয়মবহির্ভূত। এ বিষয়ে জানতে কনস্টেবল রাহাতকে কল দিলে সাংবাদিক শুনে ব্যস্ততার ওজুহাতে কলটি কেটে দেন তিনি। পরে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে লবিং-তদবির চালান।