প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, ২০ ছাত্রলীগ কর্মী আটক
Wednesday March 28, 2018 , 10:11 pm
ক্যাম্পাসে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না – বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, ২০ ছাত্রলীগ কর্মী আটক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরে চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ জালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও ২০ ছাত্রলীগ কর্মী আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ ও বিশ্ববিদালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ফের সংঘর্ষে জড়ায় বগি ভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স। এ সময় উভয় পক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পরে পুলিশ লাটিচার্জ করে বিবদমান পক্ষ দুটিকে হলে পাঠিয়ে দেয়। এরপর রাতে শাহ জালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে দেখা দেয় উত্তেজনা। সে উত্তেজনার রেশ কাটেনি সকাল পর্যন্ত। এছাড়াও বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক দফা সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে সিক্সটি নাইনের নেতা কর্মীরা তিন দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী হলে হামলা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ সিক্সটি নাইনের চার নেতা কর্মীকে আটক করে। আটককৃত চার নেতা কর্মীকে সিক্সটি নাইনের তিনজন সহপাঠি দেখতে গেলে ভিএক্সের নেতা কর্মীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এক নং গেইট এলাকায় মারধর করে। পরে ভিএক্সের সিনিয়র নেতা মিজানুর রহমান বিপুল গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সিক্সটি নাইনের নেতা কর্মীরা শাহ জালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। আবারও দেখা দেয় উত্তেজনা। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও পুলিশের উপস্থিতে শাহ জালাল হল ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে উভয় পক্ষের ২০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। অন্যদিকে, গত সোমবার বিকেলে সাদাফ কবির নামের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ২০১৩ -১৪ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। এ খবর ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে তার পক্ষের নেতা কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে জড়ো হতে থাকে। ফলে দিনভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ১ নং গেইটের স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদেরকে ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’