|
রাজপথ কাঁপাতেন তাৎক্ষণিক গান বানিয়ে
গায়ক, গীতিকার, সুরকার সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মানুষ পৃথিবীতে আসে। কিছুদিন জীবনযাপন করে। এরপর বিদায় নেয় মৃত্যুতে। এরকম কতো মানুষ আসে। কতো মানুষ যায়। আপনজনও একদিন তাকে ভুলে যায়। এটাই দুনিয়ার রীতি। কিন্তু যিনি কীর্তিমান, মানুষের মনে অপার ভালোবাসা যিনি রেখে যান, তাকে কেউ বিস্মৃত হয় না। তিনি থাকেন এবং বার বার ফিরে আসেন আমাদের মধ্যে। এমনই একজন মানুষ সঞ্জীব চৌধুরী, আমাদের প্রিয় সঞ্জীব দা। একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সাংবাদিক। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের এই দিনে তিনি বাইলেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দেখতে দেখতে চলে গেলে ১১ বছর। আজকের এই দিনেেই বড় অসময়ে দুনিয়াকে বিদায় বলেছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। একসময় কবিতা লিখতেন। কবিতায় সুর বসিয়ে করতেন গান রচনা। তাঁকে একজন বিপ্লবী গায়ক বললে কোনো ভাবেই ভুল হবে না। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করতেন। রাজপথ কাঁপাতেন তাৎক্ষণিক গান বানিয়ে। বলছিলাম আধুনিক বাংলা গানের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্র সঞ্জীব চৌধুরীর কথা। আজ তাঁর ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর মাত্র ৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান এই শিল্পী। সঞ্জীব চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সিলেটের হবিগঞ্জে। শৈশব হবিগঞ্জে কাটলেও কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। ছাত্রাবস্থায় তুখোড় মেধাবী সঞ্জীব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ঢাকা বোর্ডে মেধাতালিকায় জায়গা করে নেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে গণিত নিয়ে পড়া হয়নি। পরবর্তীতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে গান-বাজনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সঞ্জীব চৌধুরী। গানের টানে ১৯৯৫ সালে ‘দলছুট’ নামে একটি গানের দল গঠন করেন। পরবর্তীতে দলছুটের মাধ্যমেই দেশব্যপী ছড়িয়ে পড়ে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে-আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ, আমি তোমাকেই বলে দেব, বায়স্কোপ, সানগ্লাস, গাছ, চল বুবাইজান, তখন ছিল ভীষণ অন্ধকার, হাতের উপর, চোখটা এত পোড়ায় কেন, রিকশা। কর্মজীবনে এই শিল্পী আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিন-এর মত দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রে কাজ করেছেন।
বরিশাল মুক্তখবর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।
Post Views:
১৮৪
|
|