|
ধুয়ে-মুছে যাবে সব জাগতিক পাপ এ বিশ্বাসে
কুয়াকাটায় রাস উৎসবে পুণ্যার্থীদের ঢল
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ধুয়ে-মুছে যাবে সব জাগতিক পাপ এ বিশ্বাসে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাসলীলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো নারী-পুরুষ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটার রাধা কৃঞ্চ মন্দিরে ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গলঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আরতি, আলোচনা সভা ও ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। রাতভর চলবে সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভাগবত পাঠ ও মহানাম কীর্তন। আগামী শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে পূর্ণিমা চলমান থাকায় শুক্রবার ভোরে মতুয়াসহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় গঙ্গা স্নান শেষ করেছেন। সৈকতে আসা পুণ্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।পুণ্যার্থী সুশীল বলেন, এ বছর রাসমেলায় খুব ভালো লাগালো। আমাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক প্রশাসন দেখা গেছে। তবে কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কটি ভালো না। এটা জরুরি মেরামত করা উচিত ছিল। স্পিডবোট ব্যবসায়ী মো: বেলাল বলেন, এখনই অনেক লোকের আগমন, প্রতিবছরের চেয়ে এ বছর লোক অনেক বেশি হবে। হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান। দুদিনব্যাপী রাসমেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকের ঢল নেমেছে। মনে হয় কুয়াকাটার কোনো হোটেল ফাঁকা থাকবে না। কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সার্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: কৌশিক আহমেদ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পুণ্যস্নানে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক মহিপুর থানা পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
Post Views:
৫৪
|
|