|
ভাঙনের ফলে আমরাজুড়ী ফেরী চলাচল যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে
কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় তীব্র ভাঙন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় গত ০২এপ্রিল গভীর রাত থেকে হঠাৎ করে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে ভয়াবহ ভাঙন হুমকিতে পড়েছে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরিঘাট ও দুই পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের কবলে পড়ে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠী রুটের গাবখান চ্যানেলের আমরাজুড়ি ফেরিঘাট যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমরাজুড়ি ফেরিঘাটের সুপারভাইজার মোঃ শাহ আলম জানান, গত একযুগ ধরে কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় অব্যাহত ভাঙন চলছে। সোমবার রাতে হঠাৎ করে এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফেরিঘাটটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ ফেরিঘাটের পারাপার সচল রাখতে স্বরূপকাঠী প্রান্তের ঘাট স্থানান্তর শুরু করেছে। এ নিয়ে গত দু’বছরে ঘাট দুটি অন্তত ১৮ দফা স্থানান্তর করা হলো। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বর্তমানে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। আমরাজুড়ি ফেরিঘাট বাজারের ব্যবসায়ী গাজী আনোয়ার হোসেন জানান, আমরাজুড়ি মূল বাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। ইতিমধ্যে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট, বাজারের অন্তত ২০/২৫টি দোকান ও কয়েকশ বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। এর আগে ভাঙনের কবলে আশোয়া এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া সড়ক ও জনপদের অনুন্নত দুই কি.মি. রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আশোয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রতিবছর সন্ধ্যা ও গাবখান নদী ভাঙে। গত ২০ বছরে সন্ধ্যার কড়াল গ্রাসে আশোয়ার কয়েকশ’ বাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত একমাসে আমরাজুড়ি বাজারের ছয়টি দোকান নদীতে ভেঙে হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে ঘাট, বাজার ও বাড়িঘর রক্ষা করা যাবে না। আমরাজুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামসুদ্দোহা চাঁদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যুগ যুগ ধরে সন্ধ্যা নদী ভাঙছে। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি, স্থাপনা ও গাছ সন্ধ্যার করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদ আহম্মদ বলেন, আমরাজুড়ির ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
Post Views:
১,১২০
|
|