প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » এসি রুমে বসে বিলাসিতা করলে ফসল উৎপাদন হবে না : কৃষি উপদেষ্টা
Thursday November 14, 2024 , 7:27 pm
একটা সময় ছিল যখন বরিশালকে বলা হতো শস্যভাণ্ডার : কৃষি উপদেষ্টা
এসি রুমে বসে বিলাসিতা করলে ফসল উৎপাদন হবে না : কৃষি উপদেষ্টা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : একটা সময় ছিল যখন বরিশালকে বলা হতো শস্যভাণ্ডার। বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ও আমন ধানের জন্য এই অঞ্চলের খ্যাতি ছিল। বরিশালকে ফের শস্য ভাণ্ডারে রূপান্তর করতে চান। বিভাগের সেই সুনাম ফিরিয়ে আনতে চান কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরের খামার বাড়িতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি তার এ লক্ষ্যের কথা জানান। কৃষ্টি উপদেষ্টা বলেন, বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সে জন্য খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। জনগণের জন্য কাজ করলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে হবে। আবাদি জমি রক্ষা করতে হবে। এক সময়ের শস্য ভাণ্ডার বরিশালকে আবার আমরা শস্য ভাণ্ডারে রূপান্তর করতে চাই। আমরা বরিশালের সেই সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই। এককালে বরিশালকে বলা হতো বাংলার শস্যভাণ্ডার। বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি ও আমন ধানের জন্য এই অঞ্চলের খ্যাতি ছিল। কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গাড়ি নয় চাইতে হবে সার ও বীজ। উৎপাদন বাড়াতে হবে। কোনো জমি খালি রাখা যাবে না। যে ফসল উৎপন্ন হয় সেটাই করতে হবে। এসি রুমে বসে বিলাসিতা করলে ফসল উৎপাদন হবে না। মাঠে যেতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান-খরা, লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক বছর ধরে খাদ্য উৎপাদনে আগের ঐতিহ্য নেই। বরিশাল জেলায় ৮ লাখ হেক্টরের অধিক জমিতে চাষাবাদ হয়। এর মধ্যে এক ফসলি, দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি রয়েছে। সব জমি পরিপূর্ণ চাষাবাদ উপযোগী করতে হলে খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে। আলু ও ডাল জাতীয় বীজের স্বল্পতা রয়েছে। বীজের গুণগত মান রক্ষা করে সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি কর্মকর্তারা আরও জানান-পটুয়াখালীতে জোয়ারের পানির কারণে জমিতে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। অনেক জমি রয়েছে আবাদযোগ্য নয়। নদীর পাশে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করে আবাদযোগ্য করার প্রস্তাব করেন তারা। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওসার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।