|
জাদুঘরে বাঙালির ইতিহাস সাজানো হয়েছে এর তিনতলা ভবনটিতে
উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলার স্বাধীনতা জাদুঘর, আসছেন রাষ্ট্রপতি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের দুর্লভ তথ্যচিত্র নিয়ে ভোলার উপশহর খ্যাত বাংলাবাজারে স্থাপিত স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। জাদুঘরে বাঙালির ইতিহাস সাজানো হয়েছে এর তিনতলা ভবনটিতে। তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত জাদুঘরটি আগামী ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন করার পরই সবার জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ৪৭-এর দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে দুর্লভ সংরক্ষণ পাওয়া যাবে এখানে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৪৭-এর দেশবিভাগ, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, দুর্লভ আলোকচিত্র রয়েছে প্রথম তলার গ্যালারিতে। প্রথম তলাকে সাজানো হয়েছে তিনটি ভাগে। উত্তর পাশে লাইব্রেরি, দক্ষিণ পাশে অডিটরিয়াম এবং মাঝখানে ডিজিটাল প্রদর্শনী হল। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট, ৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন, ৭ই মার্চের অসহযোগ আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও ১৬ ডিসেম্বরের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের আলোকচিত্রের প্রতিচ্ছবি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অডিও ও ভিডিও প্রর্দশনী রয়েছে যা টাচস্ক্রিনের স্থিরচিত্রে দেখতে পাওয়া যাবে। তৃতীয় তলায় রয়েছে স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে সংগ্রাম থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাক্ষী বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন নেতা তোফায়েল আহমেদ’র বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্থিরচিত্র। এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের একটি আর্কাইভও থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই জাদুঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হবে, যা দেশের প্রতি তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এই জাদুঘরের স্বপ্নদ্রষ্টা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘স্বাধাীনতার ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল আমার অনেক দিনের স্বপ্ন। এটি শুধু ইতিহাসই তুলে ধরবে না বরং ইতিহাসের গবেষণাগার হিসেবে সমাদৃত হবে সবার মাঝে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতিকে যেমন আন্দোলিত করেছিল তেমনি তা আজ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে ইতিহাসের জ্ঞান পিপাসুদের মাঝে।’ তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টের মহাসচিব মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আলেকচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা ছিল আমাদের এই জাদুঘরের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য ভোলার কৃতিসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কর্নার করেছি প্রথম তলায়।’ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেধা ও মমন, কবি তারিক সুজাতের থিমে সজ্জিত এবং স্থাপত্য শিল্পী ফেরদাউস আহমেদের নকশায় গড়ে তোলা এই জাদুঘরটিকে আরো সুন্দর করেছে এর পাশে থাকা স্থাপত্য শৈলীর অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ফাতেমা খানম জামে মসজিদ, ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ, ফাতেমা খানম বৃদ্ধাশ্রম, নির্মাণাীন আজহার ফাতেমা খানম মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাসমূহ।’
Post Views:
১,০৫৬
|
|