Current Bangladesh Time
সোমবার জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ঈদের ছুটিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৪০ রোগীর মৃত্যু 
Wednesday September 6, 2017 , 12:01 pm
Print this E-mail this

অর্ধেকের বেশী ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মস্থলে ছিলেন অনুপস্থিত

ঈদের ছুটিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৪০ রোগীর মৃত্যু


শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : ঈদের ছুটিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ শিশুসহ ৪০জন রোগী মারা গেছে।এরমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ২৪ জন মারা গেছে ঈদের দিন।প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ৩ দিনে স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬৩জন রোগী।সূত্রমতে, গুরুতর অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চলে গেছেন আরোও ৬১জন।ছাড়পত্র নিয়ে ৪৩২জন রোগী বাড়ি চলে গেছেন।এছাড়া ৩দিনে নতুন ভর্তি হয়েছেন নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের ৮১১জন রোগী।ঈদের আগে বন্ধের সময় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় সংকট হবে না বলে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা থাকলেও বাস্তবতা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।ছুটি ছাড়াও অলিখিতভাবে ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীরা ছুটি কাটানোর ফলে বেহাল দশা হয়ে পড়েছিলো হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা।তবে কঠোর নজরদারীর কারণে হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তেমন কোন সমস্যা হয়নি বলে দাবি করেছেন শেবাচিমের পরিচালক ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম।হাসপাতালের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগেরদিন শুক্রবার মারা গেছেন ৮জন রোগী।উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চলে গেছেন ৩২ জন।প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬৯ জন।সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩৯ জন।ওইদিন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২৬১ জন।মোট রোগী ছিলো এক হাজার ৩০ জন।ঈদের দিন শনিবার রেকর্ড সংখ্যক নয় শিশুসহ ২৪ জন রোগী মারা গেছে।অন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চলে গেছেন ১৩জন রোগী।স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬৩ জন।ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছে ১৩৯জন রোগী।ওইদিন নতুন ভর্তি হয়েছে ২০৭জন।ঈদের পরেরদিন রবিবার মারা গেছেন ৮জন রোগী।উন্নত চিকিৎসার আশায় অন্যত্র চলে গেছেন ১৬ জন।সন্তোষজনক চিকিৎসা না পেয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি চলে গেছেন ৩১ জন।১৫৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।ঈদের পরের দিন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৪৩ জন।ওইদিন মোট রোগী ভর্তি ছিলো এক হাজার ১৮৯ জন।সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৫ জন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীসহ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ও ইনডোর মেডিকেল অফিসার মোট ১৩০ জন।মুসলিমদের মধ্যে ঈদের ছুটি নিয়েছেন মাত্র ১০জন।কিন্তু ছুটি ছাড়াও অলিখিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী বেশীরভাগ চিকিৎসক।এমনকি জরুরী বিভাগে ১০ জন চিকিৎসকের স্থলে ৩দিনে দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র ৩জন চিকিৎসক।২৫জন হিন্দুসহ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংখ্যা ১৭০ জন।এদেরমধ্যে বরিশালে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন অন্তত ৩০জন।ঈদের ৩দিনে অর্ধেকের বেশী ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মস্থলে ছিলেন অনুপস্থিত।নার্সদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই ঘটনা।২৪৫ জন হিন্দু, ২৯জন খ্রিস্টান এবং মুসলিম ৪৫১জনসহ হাসপাতালের মোট নার্সের সংখ্যা ৭৩৫জন।এদের মধ্যে অমুসলিম নার্সরাই ছিলো ঈদের আগে ও পরর ৩দিন হাসপাতালের একমাত্র ভরসা।সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট ছিলো আয়া, ঝাড়ুদারসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের।এমনিতেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চরম সংকট।এরমধ্যে আবার অসুস্থতাসহ নানা কারনে কাজে আসেননি কর্মচারীদের একটি অংশ।চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চরম সংকটের কথা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের বন্ধে হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স কর্মরত ছিলো।তিনি নিজে প্রতিটি বিষয় গভীরভাবে নজরদারী করেছেন।ঈদের দিন ২৪ জন রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে পরিচালক বলেন, একদিনে ২৪ রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন।যারা মারা গেছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো।বিশেষ করে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহনের পর শিশু মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক।এছাড়া অতিরিক্ত এ্যাজমা, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন রোগী মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

 




Archives
Image
মহাসড়কে পার্ক : অপসারণের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন
Image
বরিশালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু
Image
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে
Image
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে সরাতে চিঠি দেবে দুদক
Image
সীমান্তে বিজিবিকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের অনুমতি