প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » আসন্ন প্রাথমিক ভর্তি যুদ্ধে উদ্বীগ্ন বরিশালের অভিভাবকরা
Tuesday December 4, 2018 , 2:47 pm
এরইমধ্যেই বেশ জমে উঠেছে বরিশাল নগরীর কোচিং বাণিজ্যগুলো
আসন্ন প্রাথমিক ভর্তি যুদ্ধে উদ্বীগ্ন বরিশালের অভিভাবকরা
শামীম আহমেদ : আসন্ন প্রাথমিক ভর্তি পরীক্ষায় উদ্দীগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পাঠ্য বই থেকে প্রশ্ন হবে না বইয়ের বাহিরে দিয়ে প্রশ্ন হবে এটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাসহ তাদের অভিভাবকরা। অভিযোগ উঠেছে, কোচিং সেন্টারগুলো অতিমাত্রায় সিট দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অতি রঞ্জিত করে তুলেছে বিষয়টি। এরইধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরীর ৪ টি সরকারী বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষা সম্ভাব্য চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যেই বেশ জমে উঠেছে বরিশাল নগরীর কোচিং বাণিজ্যগুলো। অনেকেই সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পিএসসি ও জেএসসিসহ ভর্তি পরিক্ষায় কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় পর্যায় বিগত দিনে যে ভর্তি বিড়ম্বনা ছিল তা এবার কমবে বলে অনেকেরই ধারণা। চলতি বছরে বরিশালে ৪টি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে শিক্ষাথীদের অভিভাবকরা।এখন আর সরকারী জিলা স্কুল আর বরিশাল বালিকা বিদ্যালয়ের উপর এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নির্ভর হতে হচ্ছে না। নগরীর রুপাতলী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও নগরীর কাউনিয়া শহীদ আরজুমনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পুরোদমে চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য এ বছর অনেকটা চাপ কমবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একাধীক অভিভাবকরা জানান, নতুন দু’টি স্কুল পুরোদমে চালু হওয়ায় এটা বরিশালবাসীর জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। জিলা স্কুল আর বরিশাল বালিকা বিদ্যালয়ে উপর চাপটা কম হবে আশা করা যায়। তবে প্রশ্নপত্র পাঠ্য বই থেকে হবে না বাহির থেকে হবে এটা নিয়ে আমরা সত্যিই উদ্বীগ্ন। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্ন বোঝাতে অনেকটা অক্ষম। সেক্ষেত্রে সৃজনশীল প্রশ্নকে বেশি গুরুত্ব দিলে কোমলমতি বাচ্ছাদের হিমশিম খেতে হবে। বিভাগীয় অনান্য শহরে সরকারী বিদ্যালয়গুলোতে Catchment area (ক্যাসমেন্ট এরিয়া) অর্থ্যাৎ বিদ্যালয়ের কাছাকাছি শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ কোটা অগ্রাধিকার থাকলেও বরিশালে তা আজও চালু হয়নি। এ দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্য কোটায় ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটায় ২ শতাংশ এ পূর্ণাঙ্গ কোটা অগ্রাধিকার ভির্ত্তিতে ভর্তির অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আগ্রহী অভিভাবকরা। তাছাড়া প্রতিবছর গভীর রাতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাতে অভিভাবকদের ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই রাত ৯টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করলে দূর দূরান্ত থেকে আসা অভিভাবকদের অনেক সুবিধা হত বলে তারা জানায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ মোকসেদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মিটিং এ আলাপ হবে। আশাকরি ফলপ্রসু হবে। পাঠ্য পুস্তক দিয়েই প্রশ্ন করা হবে। যেহেতু এবার বরিশালে নতুন আরো দুটি বিদ্যালয় চালু হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়েছে। কাউনিয়া শহীদ আরজুমনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ এবাদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো নতুন দুটি বিদ্যালয় চালু হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়েছে। আসন্ন পরীক্ষা উপলক্ষে আলোচনা সভা হবে। তার পর যাবতীয় বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিউর রহমান জানান, সরকারী স্কুলে নীতিমালা অনুযায়ী-ই সবকিছু হবে। সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক থেকেই প্রশ্ন করা হবে।