Current Bangladesh Time
শনিবার অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » আসন্ন ঈদযাত্রায় বরিশালের সুন্দরবন, সুরভী ও পারাবত লঞ্চ-এর দাপট 
Wednesday August 30, 2017 , 5:21 pm
Print this E-mail this

যাত্রা আনন্দদায়ক ও নিরাপদ করতে অনেকে একটু বেশি টাকা হলেও এই তিন লঞ্চে যাওয়ার চেষ্টা করেন

আসন্ন ঈদযাত্রায় বরিশালের সুন্দরবন, সুরভী ও পারাবত লঞ্চ-এর দাপট


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর সদরঘাট থেকে ঈদযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে অসংখ্য লঞ্চ যাতায়াত করছে।তবে ঈদযাত্রার রাজত্বে রয়েছে ৩টি লঞ্চ।নৌপথে এ ৩ লঞ্চের প্রতি যাত্রীদের আকর্ষণ বেশি।যাত্রা আনন্দদায়ক ও নিরাপদ করতে অনেকে একটু বেশি টাকা হলেও এই তিন লঞ্চে যাওয়ার চেষ্টা করেন।ঈদযাত্রায় রাজত্ব করা লঞ্চ ৩টি হলো সুন্দরবন-১০, সুরভী-৯ ও পারাবত-১২।বিলাসবহুল এই ৩ লঞ্চে যাত্রীদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা রেখেছে কর্তৃপক্ষ।সরেজমিনে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলার টাইটানিক খ্যাত সুন্দরবন-১০ লঞ্চটিতে লিফট ও সিসিইউ ইউনিট সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি ডুপ্লেক্স কেবিন ও ফুডকোর্টসহ রয়েছে নানা প্রযুক্তির ছোঁয়া।লঞ্চের ডেকের নিচে ১২টি কম্পার্টমেন্ট করা হয়েছে।যাতে লঞ্চের তলার কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপর অংশে পানি প্রবেশ করতে না পারে।লঞ্চের নিচতলার ডেকে প্রশস্ত হাঁটার জায়গা, পর্যাপ্ত টয়লেট, ডেকের যাত্রীদের জন্য ক্যান্টিন।নিচতলায় এলইডি ও সাধারণ লাইটের সংযোজনে আলোকসজ্জায় আনা হয়েছে পরিবর্তন।লাগানো হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বাতি।নিচতলার সামনের অংশে হৃদরোগীদের জন্য এক শয্যাবিশিষ্ট স্বয়ংক্রিয় সিসিইউ মনিটর বেড সম্বলিত সিসিইউ ইউনিট।এখানে অক্সিজেনের পাশাপাশি চিকিৎসার সুবিধাও পাওয়া যাবে।লঞ্চের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে প্রথম শ্রেণির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একক ও ডাবল মিলিয়ে দুই শতাধিক কেবিন।এর বিশেষভাবে নির্মিত সিঁড়ি বেয়ে নিচতলা থেকে সরাসরি দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় চলে যাওয়া যাবে।সুন্দরবন-১০-এ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি সোফা বা বিলাসবহুল আসন রয়েছে।শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১২টি কমন বাথরুমের ভিআইপি কেবিন ছাড়াও রয়েছে ছয়টি বিশেষ ভিআইপি কেবিন।এর প্রতিটি কক্ষে রয়েছে আলাদা বাথরুম আর বারান্দা।আরও রয়েছে অত্যাধুনিক আরামদায়ক বিছানা, পাথরের ফ্লোর, ফ্রিজ ও লকারসহ নানা সুবিধা। ভিআইপি এসব কেবিনের নামকরণ করা হয়েছে ৭১, অমর একুশেসহ নানা ঐতিহাসিক নামে।লঞ্চটিতে একটি বিশেষ ভিআইপি কেবিন তৈরি করা হয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়ির মতো করে।দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মিলিয়ে এ কেবিনটির নামও রাখা হয়েছে ডুপ্লেক্স।এছাড়া লঞ্চের ডেক থেকে কেবিন, সোফা, ভিআইপি কেবিন সবখানেই যাত্রীদের বিনোদনের জন্য থাকছে এলইডি টেলিভিশন।লঞ্চের প্রতি তলায় যাত্রীদের জন্য নামাজের আলাদা জায়গা ও প্রতি ফ্লোরে পৃথক শ্রেণির যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা।শিশুদের জন্য রয়েছে প্লে-গ্রাউন্ড, দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার যাত্রীদের চা-কফি পানের জন্য লঞ্চের সামনে বসার জায়গা।যাত্রীদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে পুরো লঞ্চটি ওয়াফাই জোনের আওতায় আনা হয়েছে।নিরাপত্তার জন্য পুরো নৌযানটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।এদিকে পারাবত-১২ লঞ্চটিতে রুচিশীল পরিবারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি ভিআইপি কেবিন, প্রথম শ্রেণি ও ডেকে প্রায় ১৬শ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে।ঈদের সময় দু’হাজারের অধিক যাত্রী বহন করা হয় বলে জানান লঞ্চটির সুপারভাইজার মোখলেসুর রহমান।তিনি আরও জানান, লঞ্চটিতে ভিআইপি সাতটি কেবিনের নির্ধারিত ভাড়া সাত হাজার টাকা।তবে ঈদ উপলক্ষে আট থেকে নয় হাজার টাকা রাখা হয়।এছাড়া ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া যথাক্রমে ১৮শ ও এক হাজার টাকা।সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে বিলাসবহুল এই লঞ্চটিতে।সুরভী লঞ্চের কর্মকর্তা রাতুল সাংবাদিকদের জানান, অত্যাধুনিত প্রযুক্তিতে নির্মিত সুরভী-৯ লঞ্চটিতেও বিলাসিতার কমতি রাখা হয়নি।বিশালাকৃতির এই লঞ্চটিতেও শতাধিক সিঙ্গেল ও ডাবল এসি কেবিন রাখা হয়েছে।তিনি জানান, ভিআইপি কেবিনের ভাড়া মূলত সাড়ে ছয় হাজার টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষে ভাড়া নেয়া হবে সাড়ে সাত থেকে নয় হাজার টাকা।এসি ডাবল কেবিনের ভাড়া সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ও ভিআইপি সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার টাকা।লঞ্চটির কেবিনে সার্ভিসগুলো উপভোগ করার বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত কেবিনবয় রাখা হয়েছে।আকর্ষণীয় এই লঞ্চটিতেও খাবারের হোটেল, নামাজের স্থান ও পর্যাপ্ত টয়লেটের পাশাপাশি নিচতলার পুরো অংশে ডেকে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।




Archives
Image
ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
Image
‘ক্রসফায়ারের নামে’ ছাত্রদল নেতাকে হত্যা: শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাইসহ আসামি অর্ধশত
Image
বরিশালে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
Image
পটুয়াখালীতে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের এক ইলিশ
Image
কর্মবিরতিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের নার্সরা