|
চরমোনাই মাহফিলে ‘হাত পাখায়’ ভোট প্রার্থনা
‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত বরিশালের চরমোনাই
নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতার কল্যাণ ও শান্তি কামনায় মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল। শনিবার (১০ মার্চ) কীর্তনখোলা নদীর তীরে লাখো ভক্ত-মুরিদান এই মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর সাহেব আলহাজ্ব মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করেন। আজ ফজরের নামাজের পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন। বয়ানে তিনি দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের প্রস্তুতির নসিহত করে বলেন, এ দুনিয়া থাকার জায়গা নয়। তাই কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি দুনিয়ার মোহে পড়তে থাকতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, দুনিয়া হলো আখেরাতের কামাইয়ের জায়গা। এখান থেকে পরকালের জীবনকে সাজাতে যারা চেষ্টা যত বেশি হবে, পেরকালে সে ততই সফলতা লাভ করবে। তিনি বলেন, আপনারা বহু দূর থেকে অনেক কষ্ট স্বীকার করে এসেছেন; খেয়ে না খেয়ে চরমোনাইর এ ময়দানে অবস্থান করেছেন। আপনাদের আশা এবং কষ্ট তখনই সফলকাম হবে যখন আপনার দৈনন্দিন জীবনের আমলগুলো সুন্দরভাবে পালন হবে। পরে মোনাজাতে মহান আল্লাহর কাছে সকল পাপ ও অন্যায় থেকে মুক্তির জন্য আকুতি জানান মুসল্লিরা। দেশ-জাতি ও মানবতার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তির প্রার্থণা করা হয়। দোয়া করা হয় মায়ানমারের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য। আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো চরমোনাই ময়দান। এই সময়ে কীর্তনখোলা তীরে এক অভিনব দৃশ্যের অবতারণা হয়। বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ‘হাত পাখা’ প্রতীকে ভোট চাইলেন বক্তারা। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম সহ মাহফিলের সব বক্তারা তাদের রাজনৈতিক দলের ‘হাত পাখা’ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। বক্তারা বলেছেন, ‘২০১৮ সাল হলো নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের বছর। হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সকলকে নির্বাচনী জেহাদে অংশ নিতে হবে’। মাহফিলে উপস্থিত লক্ষাধিক মুসল্লি ছাড়াও বরিশাল নগর ও আশপাশ থেকে হাজার হাজার মুসল্লি জুমার নামাজের অংশ নিতে চরমোনই যান।মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে জুমার নামাজের খোৎবার আগে আলোচনায় ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর ও পীরের সহোদর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম বলেন, নির্বাচন হলো ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জেহাদের সামিল। অন্যান্যা দলগুলো তাদের প্রতীকে ভোট চেয়ে গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেবে। শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলন ভোটারদের কাছে হাত পাখা প্রতীকে ভোট চেয়ে দেশে ইসলামী শাসন কয়েম করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। জুমার নামাজের আগে মাহফিল মাঠে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ছাত্র আন্দোলন কর্মীদের প্রস্ততি নেওয়ার আহ্বান জানান।
Post Views:
১৯৫
|
|