“সুন্দরবনের হাসি” নামে পূর্ণবাসন প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ
আত্মসর্ম্পনকৃত সুন্দবনের জলদস্যুদের মাঝে বরিশাল র্যাবের ঈদ সামগ্রী বিতরন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সুন্দরবনের জলদস্যুদের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবো না, টাইম লাইন অক্টোবর। যারা নিজ ইচ্ছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসর্ম্পন করবেন তারা বেঁচে যাবেন অন্যথায় র্যাব তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে কি হবে সেটা আপনারাই ভালো জানেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় বরিশাল র্যাব-৮ সদর দপ্তরে আত্মসর্ম্পনকৃত জলদস্যুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন ও পূর্ণবাসন প্রকল্প উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি বেনজির আহমেদ। তিনি আরো বলেন, হত্যা ও ধর্ষন মামলা বাদে বাকি মামলাগুলো প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা হবে। যারা নিরীহ লোকদের উস্কানী দিয়ে পানিতে নামিয়ে এই জলদস্যুর কাজে লিপ্ত করেছে তারাও রেহাই পাবে না। ইতিমধ্যে ২৩ টি গ্রুপ ২৫০ জলদস্যু ও বনদস্যু আত্মসর্ম্পন করেছে। এসময় তারা র্যাবের হাতে ৩শত ৭৯টি আগ্নে অস্ত্র ও ১৮হাজার ৮শত ৪ রাউন্ড গোলাবারুদ র্যাবের হাতে তুলে দেয়। এরা প্রত্যেকে বর্তমানে ভালো আছে। তাই এখনো যারা সুন্দরবনে জলদস্যু বনদস্যুতায় জড়িত রয়েছেন তারা দ্রুত ধরা দেন। কারণ অনন্তকাল বসে থাকার সময় আমাদের নেই। সময় (টাইমলাইন) চলতি বছরের অক্টোবর। তাই এই অঞ্চলের শাস্তি প্রতিষ্ঠা যাতে হয় এবং জাতীয় সম্পদ যাতে রক্ষা পায় তার সুব্যবস্থা নেব। অনুষ্ঠানে র্যাব-৮ এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসমলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আনোয়ারুল লতিফ, র্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুজ্জামান, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোঃ মাহফুজুর রহমান, রেঞ্চ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজ মোঃ আজাদ, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহিলা টিটিসির অধ্যক্ষ মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম। এবারে ২৪৩ জনের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হয়। এছাড়া সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে ২০ জলদস্যুর পরিবারকে এবং ১০ পরিবারকে দেয়া হয়েছে আর্থিক শিক্ষা সহায়তা। পরে ফিতা কেটে আত্মসর্ম্পনকৃত জলদস্যু পরিবারবর্গের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে র্যাব কর্তৃক “সুন্দরবনের হাসি” নামে পূর্ণবাসন প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।