Current Bangladesh Time
সোমবার জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ৫:১৯ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » আজও শেষ হয়নি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ভবন নির্মাণ কাজ 
Saturday December 15, 2018 , 1:55 pm
Print this E-mail this

আবাসিক ভবনগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ, ডাক্তার এখানে চাকুরী করতে চান না বিধায় ডাক্তার সংকট

আজও শেষ হয়নি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ভবন নির্মাণ কাজ


মো: সজিব হোসেন ফরাজী : ডাক্তার ও ভবন সংকটের কারণে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত। আজও শেষ হয়নি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ। অনিয়মের কারণে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে ৩ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজ ১০ বছর পূর্বে শুরু করার পর পরই বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট মেসার্স নুরই এন্টারপ্রাইজ নামে বরিশালের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ পান। ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয় । ঐ কার্যাদেশের ১৮ মাসের মধ্যে সম্প্রসারিত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও সিকি ভাগ কাজের কিছু না করায় বছরের পর বছর ভবন নির্মাণের জন্য দুইটি পুকুর খনন করে রেখে দেয়। কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার এ ব্যাপারে আবেদন করার পরে গত ২৫ শে জুন ২০১৪ ইং তারিখ নুরী এন্টার প্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্রের কার্যাদেশ বাতিল করে। এতে হাসপাতালের সম্প্রসারিত নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪ ইউনিটের ২টি নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণ, একটি নতুন দ্বিতল বর্হিবিভাগ ভবন ও পুরনো হাসপাতাল ভবন এবং কোয়াটার গুলোর সংষ্কারের কাজ গুলো অন্তর্ভুক্ত। এদিকে উপজেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ক্রমশ:ই ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও দুই জন চিকিৎসক নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসক সংকট ছাড়াও ১০ বছর পূর্বে ঘোষনা করা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সামান্য বৃষ্টি হলেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়া, সিলিং ও ভিম থেকে কংক্রিট ভেঙে পড়া এখন যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসস্থলের অবস্থাও অত্যন্ত করুণ। যে কোন সময়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা চিকিৎসক কর্মচারীদের। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোও চলছে নামমাত্র কর্মকান্ড। নেই কোন মনিটরিং ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় করুণ হাল। পিরোজপুর জেলার ৭৯.৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাউখালী উপজেলাটি পাঁচটি ইউনিয়ন নিযে গঠিত। উপজেলা সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৯ জন এবং ৫ ইউনিয়নে ৫ টি এফডব্লিউসিতে একজন করে চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, শিয়ালকাঠির এফডব্লিউসিতে ডা: ওসমান গণি থাকলেও ডেপুটেশনে ঢাকা মেডিকেলে একটি দুই বছর মেয়াদী কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। যার ফলে ৫টি এফডব্লিউসিতে কোন ডাক্তার না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব অসহায় রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, বহুবার আবেদনের পর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করনের জন্য ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে ঠিকারের ও প্রকৌশল বিভাগের দুর্নীতির কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ১০ বছর পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি ঝুঁকিপুর্ন ভবন হিসেবে ঘোষণা করাহয়। বিকল্প কোন ভবন না থাকায় জরাজীর্ন ভবনের মধ্যেই চলছে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর চিকিৎসা সেবা। এছাড়া বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক না থাকায় সাধারণ কোন সমস্যায়ও ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যেতে হয়। যেমন গাইনী বিভাগ, এথেন্সিয়া বিভাগ, ডেন্টাল বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগ, আরএমও বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক দীর্ঘদিন পর্যন্ত না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে উপজেলাবাসী। এক বছর পূর্বে ডেন্টাল সার্জন হিসেবে ডা: লিটন ভূষন বড়ালকে পদায়ন করা হলেও তিনি যোগদান করে সেদিনই ঢাকায় সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে চলে যান। অপর এক মেডিকেল অফিসার গত ৭/৫/২০১৬ তারিখে যোগদান করেই ৫ দিনের ছুটিতে যান। ছুটিতে গিয়ে ফিরে না আসায় দুইবার চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠি ফেরৎ এসেছে। কয়েকদিন পূর্বে তিনি দেড় মাসের মেডিকেল ছুটির আবেদন পাঠিয়েছেন। আর একজন মেডিকেল অফিসার ডা: ওয়ালিউর মিরাজ দুই মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে করে এসেছেন। এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন জানান দীর্ঘ দিন ধরেই এই সমস্যা। আমাদের কাজ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি জানানো। বার বার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়কেও জানানো হয়েছ। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও ডাক্তারদের আবাসিক ভবনগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় কোন ডাক্তার এসে এখানে চাকুরী করতে চান না বিধায় ডাক্তার সংকটও কাটছে না।




Archives
Image
শিগগির ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
Image
বিসিসির ছাঁটাইকৃত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মানববন্ধন
Image
বরিশালে আড়তেই পচছে ফুলকপি-বাঁধাকপি-শালগম, বিপাকে ব্যবসায়ীরা
Image
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই
Image
সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি, সন্দেহ পুলিশের