বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত কয়েক দিন ধরে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানবজীবন। অধিক শীত ও কুয়াশার কারনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের লোকজন পড়েছে মহাবিপাকে। তীব্র শীত নিবারনের জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামের বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের। প্রতিবছর শীতের শুরুতেই কম্বল ও গরম কাপড় বিতরন করা হলেও এবছর তেমন একটি শীতবস্ত্র বিতরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দরিদ্র মানুষ কোন কাজের জন্য ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারছে না। গত কয়েকদিন ধরে শীতের কারনে হতদরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। গতদু’দিন ধরে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশা যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কুয়াশার কারনে দিনের অর্ধেক সময় পার হলেও সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের তীব্রতা আর ঘন কুয়াশার কারনে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বেড়েই চলছে। অধীক কুয়াশার কারনে জমির বীজ ধান পুড়ে যাচ্ছে। শীতের কারনে সন্ধ্যার পরপরই রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার কারনে দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছে না। অধিক শীতের কারনে ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁপানি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।