|
স্থানীয় প্রভাবশালীর টাকা নেয়ার অভিযোগ আর দুইটি ডায়গনিস্টিক সেন্টার বন্ধ
আগৈলঝাড়ার টুকরো খবর
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ম্যানেজের জন্য আগৈলঝাড়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীর টাকা নেয়ার অভিযোগ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক থেকে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে। গাছ কাটার ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগধা বাজার থেকে ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক থেকে স্থানীয় সহিদ গাইন, পারভীন বেগম, লায়েক সরদার ও মন্নান মীর সম্প্রতি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয়। গাছ কাটার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান তালুকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটায় বাধা দেয়। টাকা না দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দিয়ে মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। হাবিবুর রহমান তালুকদারকে টাকা দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় সহিদ গাইন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে রোববার এসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়কে থানায় আসার জন্য বলেন। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান তালুকদার সাংবাদিকদের কাছে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সহিদ গাইনের কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেইনি। সে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
ল্যাব টেকনোলজিষ্ট না থাকায় আগৈলঝাড়ায় হাসপাতালের সামনে দুইটি ডায়গনিস্টিক সেন্টার বন্ধ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হাসপাতালের সামনে দুইটি ডায়গনিস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনোলজিষ্ট না থাকায় প্যাথলজি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা যুবকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সন্যামত ডায়গনিস্টিক সেন্টার ও সিকদার ডায়গনিস্টিক সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমাধারী ল্যাব টেকনোলজিষ্ট না রেখে অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট দিচ্ছেন তারা। সোমবার সকালে স্থানীয় যুবক শামীম গাজী ও রাকিব সরদারসহ অনেকে রোগীদের সাথে প্রতারণা করা ও অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে সন্যামত ডায়গনিস্টিক সেন্টার ও সিকদার ডায়গনিস্টিক সেন্টার দুইটি বন্ধ করে দিয়েছে। শামীম গাজী জানান, সন্যামত ডায়গনিস্টিক সেন্টারের মালিক নজরুল সন্যামত এক সময় হাসপাতালের সামনে চা বিক্রি করত। পরে নিজে হাসপাতালের সামনে একটি ঔষধের দোকান দেয়। কিছুদিন পরই ঔষধের দোকানের পিছনে একটি প্যাথলজি খুলে বসে নিজেরাই ডাক্তারের দেয়া রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়া শুরু করেন। বরিশাল সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে আসলে তখন তারা প্যাথলজি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানায়, ডিপ্লোমাধারী ল্যাব টেকনোলজিষ্ট না রাখা পর্যন্ত ওই দুটি প্যাথলজি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এব্যপারে হাসাপাতালের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, হাসপাতালের সামনে ওই দুটি ডায়গনিস্টিক সেন্টার ডিপ্লোমাধারী ল্যাব টেকনোলজিষ্ট নেই। তার পরে তারা কি ভাবে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় তারাই জানেন। একাধিকবার বরিশাল সির্ভিল সার্জন বন্ধ করলেও কয়েকদিন পর খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তাদের একাধিকবার চিঠি দিয়ে সর্তক করা হয়েছে যাতে তারা ডিপ্লোমাধারী ল্যাব টেকনোলজিষ্ট রাখেন।
Post Views:
১,০০৪
|
|