|
গৌরনদী উপজেলার চরদিয়াশুর গ্রামের দিনমজুর মৃত আজাহার সরদারের কন্যা আয়শা বেগম
অসুস্থ্য স্ত্রীকে রেখে স্বামীর পলায়ন অর্থাভাবে মৃত্যু শয্যায় হতভাগা আয়েশা
কিডনী ও লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে গেছে পাষন্ড স্বামী। অবশেষে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে ঠাঁই হয়েছে হতভাগা গৃহবধূ আয়েশা বেগমের (৩০)। অর্থাভাবে দীর্ঘদিন থেকে তার চিকিৎসা হচ্ছে না। এমনকি দু’মুঠো আহার পর্যন্ত জুটছে না হতভাগা আয়েশা ও তার অবুঝ তিন সন্তানের। দিনে দিনে তার (আয়েশা) পেটে পানি জমে ভারি হয়ে যাচ্ছে। এখন হাঁটতে চলতেও পারছেন না। বিনাচিকিৎসায় প্রতিনিয়ত সে (আয়েশা) মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। অবুঝ সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকতে চায় হতভাগা আয়েশা বেগম। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পেতেছেন তিন সন্তানের জননী আয়েশা। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চরদিয়াশুর গ্রামের দিনমজুর মৃত আজাহার সরদারের কন্যা আয়শা বেগম। ২০০৩ সালে আয়েশা বেগমের বিয়ে হয়েছিল ঢাকার সোনারগাঁও উপজেলার মাদুরচর গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার পুত্র মোজাম্মেল মোল্লার সাথে। আয়েশার স্বামী মোজাম্মেল ছিলেন পেশায় একজন রিক্সাচালক। তিনি (মোজাম্মেল) শ্বশুরবাড়ী এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনবছর আগে আয়েশা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়। ওইসময় তার কিডনীতেও সমস্যা দেখা দেয়। এরপর স্ত্রী ও অবুঝ সন্তানদের ফেলে মোজাম্মেল এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর পিতৃগৃহে ঠাঁই হয় আয়েশা ও তার তিন সন্তানদের। আয়েশার বিধবা মা ফজিলা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মোরা নিতান্তই গরীব মানুষ। মেয়ের (আয়েশা) কষ্ট দেখলে ঠিক থাকতে পারি না। মোর পোলারা ক্ষেত-খামারে দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে অভাবের সংসার চালাচ্ছে। ঠিকভাবে মোরা দুইমুঠো ভাতও খাইতে পারি না। সেখানে আয়েশারে ডাক্তার দেহামু কেমনে।
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক
Post Views:
০
|
|