নির্বাচনকালীন সময়ে যখন নিষিদ্ধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচনকালীন সময়ে যখন নিষিদ্ধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন; ঠিক ওই সময়েই লাইসেন্স বিহীন আগ্নেয়াস্ত্রসহ (পিস্তল) পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু সিকদার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। আটক ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ড্রাইভার মো: সজিবকে (৩২) আটক করা হয়। একইসঙ্গে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। বিষয়টি বেতাগী থানার ওসি মো: মাহাবুবুর রহমান নিশ্চিত করেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পার হলেও পুলিশের মামলার প্রস্তুতি ছিল না। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত (রাত ১২টা) চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ড্রাইভারকে আটক করে থানায় আনা হলেও মামলা না নিয়ে রফদফার চেষ্টায় সময় ক্ষেপণ করেন পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বেতাগী উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু সিকদার। তিনি ও তার ড্রাইভার একটি প্রাইভেটকারযোগে বেতাগী পৌরশহর থেকে মোকামিয়া ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে যাবার পথে উপজেলার বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে একদল পুলিশ তার গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করে। এসময় গাড়ির মধ্যে বসে থাকা নাহিদের সিটের পাশ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) উদ্ধার করেন পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা (বেতাগী উপজেলা) স্বপন সিকদার। তাদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-গ/১৯-২৬৫০) জব্দ করা হয়। বেতাগী থানার ওসি মো: মাহাবুবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি তল্লাশি করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। অস্ত্রটি লাইসেন্সবিহীন-এটি নিশ্চিত। ঘটনার পর সময় ক্ষেপণ হলেও মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, যেহেতু এখন নির্বাচনের সময় তাই সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পের্ক গণমাধ্যমের কাছে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।