|
বরিশালের জননন্দিত চৌকস পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে
অবশেষে বরিশালের কাটপট্টির গুন্ডা শাহ আলমের জুয়ার আসরে ডিবির হানা, ১৬ জুয়ারী গ্রেপ্তার
এস. এম রফিকুল ইসলাম : অবশেষে বরিশালের জননন্দিত ও চৌকস পুলিশ কমিশনার এস.এম রুহুল আমিনের নির্দেশে কাটপট্টির সেই মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জুয়ার আসর থেকে ১৬ জুয়ারীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।গতকাল (২১-০৯-১৭) রাত সাড়ে ৮টায় উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি উত্তম কুমার পালের সার্বিক তত্বাবধায়নে ও সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসিরউদ্দিন মল্লিকের নেতৃত্বে এসআই দেলোয়ারের টিম অভিযান চালিয়ে এ ১৬ চিহ্নিত জুয়ারীকে আটক করতে সক্ষম হন।এসময় জুয়ার বোর্ড থেকে ১৫ সেট তাস ও নগদ ১২ হাজার ১০ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।জুয়ার আসর থেকে আটককৃত ১৬ জুয়ারীরা হলো : খন্দকার শাহআলম ওরফে গুন্ডা শাহআলম, জামাল ওরফে মহাবাজ জামাল, জয়নাল হাং, রফিকুল ইসলাম সোহেল, সুমন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, গোলাম মোস্তফা, হাসানুজ্জামান হাসান, মামুন ব্যাপারী, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম বসির, ফিরোজ আকন, শেখ নাসির উদ্দিন, রিয়াজুল ইসলাম রাহাত, জাহিদুল ইসলাম।আটকৃতদের বিরুদ্ধে এসআই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।আজ (২২-০৯-১৭) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানাগেছে।সূত্র আরও জানায়, বরিশালের পাঠকপ্রিয় দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের আড়ালে জুয়া খেলার বিষয়টি নজরে আসে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের।যার প্রেক্ষিতে চৌকস পুলিশ কমিশনার এস.এম রুহুল আমিনের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়।প্রসঙ্গত: বরিশাল নগরীর কাটপট্টির চিহ্নিত জুয়ারী ও মাদক ব্যবসায়ী খন্দকার শাহআলম ওরফে গুন্ডা শাহআলম এবং চিহ্নিত জুয়ারী জামাল ওরফে মহাবাজ জামালের নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানা সংলগ্ন এ জুয়ার আসর নিয়মিত চলে আসছিল।শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দীর্ঘদিন জুয়ার আসর চললেও পত্রিকায় সংবাদের প্রকাশের পর এনিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, সচেতন মহল ও সুশীল সমাজের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠে।ফলে এর নেতৃত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সুখরঞ্জন ও লাবালুল হক দুলাল বাধ্য হয়ে সাইবোর্ড নামিয়ে ফেলেন।বর্তমানে সেই একই জায়গায় চিহ্নিত জুয়ারী জামাল ওরফে মহাবাজ জামালের নেতৃত্বে ফের নিয়মিত জুয়ার আসর বসছিল।দিনে দিনে এসব চিহ্নিত জুয়ারীরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল বলেও মন্তব্য এলাকাবাসীর।বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এ জুয়ার আসর বন্ধে অদৃশ্য কারনে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিল না।জুয়ারী শাহআলম ও জামালের ক্ষমতার উৎস ও খুটির জোর নিয়েও মহল বিশেষে নানা প্রশ্ন গুঞ্জরিত হয়ে আসছিল।জানা গেছে, নগরীর কাটপট্টির সাবেক মহিলা কাউন্সিলর হাসিনা বেগম বেবির ভবনের ২য় তলা ভাড়া নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পূর্নবাসন কেন্দ্রের সাইবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় এ চিহ্নিত জুয়ারীরা।প্রায় বছর খানেক পূর্বে কোতয়ালী মডেল থানার তৎকালীন এসি আজাদ রহমান অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সামগ্রী তাস ও নগদ টাকা সহ ১১জন চিহ্নিত নেশাখোর জুয়ারীকে আটক করতে সক্ষম হন।পরে একটি বিশেষ তদবিরে ২ জুয়ারীকে বিএমপি এ্যাক্টের ৮১ ধারায় এবং বাকী ৯ জনকে সংশ্লিস্ট আইনে আদালতে সোপর্দ করা হয়।এরপর থেকে বেশকিছু দিন সেখানে জুয়া ও মাদকের আসর বন্ধ থাকলেও পূনরায় সেখানে বসছে আসছিল মাদক ও জুয়ার আসর।জানা গেছে, কালীবাড়ি রোডের বিএম স্কুল সংলগ্ন এলাকার জি.এস রানা ও টুকু নামের ২ যুবক ক্ষমতাসীন মহলের নাম ভাঙিয়ে এ জুয়ার আসর থেকে নিয়মিত উৎকোচ আদায় করে আসছিল।প্রশাসন ম্যানেজের নামেও এ জুয়ার আসর থেকে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা চলে যেত বলেও নিশ্চিত করেছে একটি সংশ্লিস্ট সূত্র।কিন্তু সেই টাকা সরাসরি কে নিয়েছে তা বলতে অপরাগতা জানিয়েছে সূত্রটি।গতকাল (২১-০৯-১৭) অভিযান চালিয়ে ১৬ জুয়ারীকে আটকের পর স্থানীয় সচেতন মহল ও সুশীল সমাজের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।তারা পুলিশ কমিশনার এস.এম রুহুল আমিন ও উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি/ট্রাফিক উত্তম কুমার পালসহ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
Post Views:
৬৭৯
|
|