প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » অপারেশনে রোগীর মৃত্যু : ধামাচাপা দিতে অন্যত্র লাশ পাঠায় কর্তৃপক্ষ
Sunday July 7, 2024 , 4:01 pm
ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
অপারেশনে রোগীর মৃত্যু : ধামাচাপা দিতে অন্যত্র লাশ পাঠায় কর্তৃপক্ষ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আমতলীতে হার্নিয়া অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় আলাউদ্দিন মুসুল্লী (৬৫) নামে এক রোগী মারা গেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার কথা বলে স্বজনদের ডেকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ তুলে দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একে স্কুল সড়কের ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে শুক্রবার রাতে। মৃত আলাউদ্দিন মুসুল্লীর ছোট ভাই সরাফ উদ্দিন মুসুল্লীর অভিযোগ, ডা: মাহবুবুর রহমান কচির ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। জানা গেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মুসুল্লী দালাল তপন খানের মাধ্যমে ওই হাসপাতালে হার্নিয়া রোগ নিয়ে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অপারেশন করতে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছেন রোগীর ছেলে লিমন। শুক্রবার রাতে ডা: মাহবুবুর রহমান কচি ওই রোগীর অপারেশন করেন। অপারেশনের দুই ঘণ্টা পর রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মারা যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে দেয়নি তাঁর ছেলে লিমনকে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃত আলাউদ্দিনসহ তাঁর স্বজনদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয় এমন অভিযোগ ছেলে লিমন মুসুল্লীর। পরে তারা তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার ইউনিক স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এদিকে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হাসপাতালের পরিচালক জামায়াত নেতা রকিব চৌধুরী রাজু উঠেপড়ে লেগেছেন। ইউনিক হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান কচি বলেন, ‘আমি যথাযথভাবেই অপারেশন করেছি। অপারেশনে কোনো ভুল ছিল না। কিন্তু অপারেশনের পরে রোগী মারা গেল কেন এমন প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। হাসপাতালের পরিচালক রকিব চৌধুরী রাজু বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতাল থেকে মোটামুটি সুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী পাঠিয়েছি। আমার হাসপাতালে রোগী মারা যায়নি।’ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে ওই হাসপাতালের সমুদয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মশিউর রহমান বলেন, ওই রোগী হাসপাতালে আনার অনেক আগেই মারা গেছেন।