Current Bangladesh Time
বৃহস্পতিবার মার্চ ২৮, ২০২৪ ৫:৫০ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » মহসিন বরিশালেই ঘুরছে অথচ সেই পুলিশই এখন বলছে সে পলাতক (!) দুদক পাঠিয়েছে চিঠি 
Friday May 29, 2020 , 3:01 pm
Print this E-mail this

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাহাদুরের হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন হাসান

মহসিন বরিশালেই ঘুরছে অথচ সেই পুলিশই এখন বলছে সে পলাতক (!) দুদক পাঠিয়েছে চিঠি


শাকিব বিপ্লব, অতিথি প্রতিবেদক : মাওলানা স্টাইলে ছদ্মবেশে বহু অপকর্মের নায়ক রূপাতলীর সেই মহসীন আলম পুলিশের ভাষায় পলাতক কিন্তু সে বরিশালেই অবস্থান করছে। গত ২ দিন পূর্বে নিজ বাসা হাজী ম্যানসনে একজন আইনজীবিকে ডেকে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে যুবলীগ নেতা বাহাদুরের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা থেকে আদলতে লড়াই করার কৌশল নির্ধারন করে। সেই সাথে থানা পুলিশকে নিজের কজ্বায় নিয়েছে বলে ঐ আইনজীবীকে আশ্বস্ত করে তিনি নিরাপদেই আদালতে উপস্থিত হওয়ার নিশ্চয়তা দেন। এদিকে ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের সদর দপ্তর থেকে বরিশাল কার্যালয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহনে একটি চিঠি এসেছে। ভূমিদস্যু মহসিনের হাতে একাধিক ব্যাক্তির ভূমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ঢাকা দুদক কার্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্তমানে পলাতক মহসিন সম্পর্কিত এ তথ্য প্রাপ্ত। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে , সেনা বাহিনী থেকে অবসরে এসে মহসিন আলম ভূমিদস্যুতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে গিয়ে যেমন হয়েছেন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক, তেমনই বহু মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়েছেন। কিন্তু নিজে কখনও আসামী হননি, যেতে হয়নি কারাগারে। এবার নিজ ছোট শ্যালক বাহাদুরকে হত্যাচেষ্টায় দায়েরকৃত মামলায় এবারই তাকে প্রথম পলাতক জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। বাহাদুরের ভাইয়ের দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে কিন্তু তাকে পাচ্ছেনা। অথচ ঈদের দিন তিনি প্রকাশ্যে রূপাতলীর হাউজিং-এর নিজ বাড়িতে তিনি আসেন। আবার বেড়িয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তাকে আর দেখা যায়নি। স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে বলছে, মহসিন বরিশালেই আছেন, এবং রূপাতলী এলাকায়ই অবস্থান করছেন। এ তথ্যের সত্যতা প্রমাণে উদাহরন হিসেবে গত ২৭ মে বুধবার মহসিন হাউজিংয়ে নিজ মালিকানাধীন হাজী ম্যানসনে বিকেলে অবস্থান নিয়ে একজন আইনজীবীকে ডেকে আনেন। ঐ আইনজীবীর নাম প্রকাশে অস্বীকৃতির শর্তে ঐ সূত্রটি জানায়, হাজী ম্যানসনের দোতলার একটি কক্ষে তারা দীর্ঘ প্রায় ১ ঘন্টা আইনী বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ঐ আইনজীবী মহসিনকে আইনী সহায়তা দেওয়াসহ জামিনে মুক্তির প্রতিশ্রুতির বিপরীতে পূর্বশর্ত হিসেবে থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করার পরামর্শ দেন। এসময় জানানো হয়, পুলিশ প্রশাসনের সাথে কোনো এক মাধ্যমে যোগাযোগ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হবে না, এই মর্মে আশ্বস্ত করার বিষয়টি ঐ আইনজীবীকে অবহিত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বাহাদুরের উপর হামলায় দায়ের হওয়া মামলায় শীঘ্রই মহসিন আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। উল্লেখ্য, ২৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বাহাদুরকে হত্যার পূর্বপরিকল্পনার আলোকে গত ২৩ মে রাতে রূপাতলীর বটতলা এলাকা থেকে একদল যুবক অপহরন করে পার্শ্ববর্তী আরাফাত হাউজিংয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। ঐ বাড়িটি মহসিনের। বাহাদুর ও মহসিন সম্পর্কে শালা-দুলাভাই। বাহাদরুদের একটি বিক্রিত পৈতৃক সম্পত্তি হঠাৎ করে মহসিন নিজের মালিকানা দাবী করলে শ্বশুরালয়ের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাহাদুরের ভাই মহানগর যুবলীগ নেতা মিল্টন ঐ জমির ক্রেতার পক্ষ নিলে মহসিন ক্ষিপ্ত হলে তর্ক থেকে বাহাদুরের কাছে নিগৃত হয়। সেই ক্ষোভ প্রতিশোধে রূপ নিলে হত্যাচেস্টায় বাহাদুরকে অপহরন করা হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু ভাগ্যচক্রে সে রক্ষা পেলে ঘটনার সাথে মহসিনের সম্পৃক্ততা ফাঁস হয়ে যায়। সেই থেকে মহসিন আত্মগোপনে পলাতক রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে। আহতের পরিবারের দাবী, বাস্তবতায় পুলিশের এই বক্তব্য ধোপে টিকছে না। ঈদের দিনও মহসিনকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। শহরের নূরিয়া স্কুল সংলগ্ন একটি মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে রূপাতলির হাউজিং এর ৯ নং সড়কের নিজ বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় স্থানীয়দের সাথে তাকে কথা বলতে দেখা গেছে। এরপর আবার লাপাত্তা হয়ে যায়। নিকটাত্মীয়দের অনেকের ধারনা ছিলো হয়তো তিনি প্রতিক’ল এই পরিস্থিতিতে বরিশাল চেড়ে সম্ভবত খুলনায় এক স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মূলত ভ’মিদস্যু হিসেবে পরিচিত মহসিন পলাতক নয়। সে বর্তমানে রূপাতলি এলাকায়ই রয়েছেন, শুধু প্রকাশ্যে আসছেন না। তিনি এখন বাহাদুরের ঘটনার মামলা থেকে জামিনে মুক্তির পথ খুঁজছে। ঐ সূত্রগুলোর মধ্যেকার একটির দাবী, মহসিনের সাথে র‌্যাবসহ আদালতের বিচারকদের একটি সখ্যতা রয়েছে। বিশেষ করে রূপাতলীর হাউজিংয়ে বসবাসকারী একজন র‌্যাব কর্মকর্তা ও দৃইজন বিচারক রয়েছেন যাদের তিনি সেখানে বাড়ি নির্মাণে জমি ক্রয়ে সহায়তা করার মদ্যে দিয়ে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এবারই প্রথম মহসিন জমি নয় , নিজেকে রক্ষাথে সরকারি এসব কর্মকর্তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। যদিও এতথ্যের কোনো অকট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আলামত বলছে বাস্তবতার কথা। ইতিমধ্যে মহসিন মেট্রোপুলিশের একজন কর্মকর্থার সাথে যোগাযোগ করেছেন, যাতে বাহাদুরের মামলায় তাকে আটকে থানা পুলিশকে নিরব রাখা যায়। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাকে আটকে পুলিশের ধীরালয়ে চলায়। অবশ্য প্রথমে কোতয়ালী মডেল পুলিশ বেশ সোচ্চার হয়েছিলো মহসিনকে তালাশে। এরই প্রেক্ষাপটে মহসিনের টর্চার সেল আরাফাত হাউজিংয়ের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বাহাদুরের উপর হামলায় ব্যবহৃত নানা উপকরন আলামত হিসেবে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলো পুলিশ। মহসিন ঘুরছে অথচ সেই পুলিশই এখন বলছে সে পলাতক (!) তাহলে গত ২ দিন পূর্বে একজন আইনজীবীর সাথে তার নিজ বাসায় বৈঠকে মহসিনের উপস্থিতি ঘটলো কীভাবে ? কারো কারো দাবী পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে কোনো নির্দেশ অথবা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে মহসিনের আর্থিক সন্ধিচুক্তিতে তাকে খোঁজা হচ্ছে না। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাহাদুরের হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন হাসান। আজ শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মহসিন রূপাতলীতে অবস্থান নিয়ে আছে, এমন তথ্য তাদের কাছে নেই। মামলার বাদী বা তাদের আত্মীয়স্বজনও এবিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তার ভাষায়, মহসিন শীঘ্রই পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।




Archives
Image
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে চার কিশোরসহ সাতজন অপহরণ
Image
বরিশালে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে নবজাতককে উদ্ধার
Image
স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে বরিশালের নদীতে ঘুরছে সুন্দরবনের কুমির
Image
ঈদে যানবাহনে ভাড়া কমানোর দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ
Image
বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা