নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে ভূতুরে বিদুৎ বিলে ক্ষুদ্ধ হয়ে চাঁদমারী বিদুৎ অফিস ঘেরাও করেছে গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড চাঁদমারী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ (ওজাপাডিকো) বিদুৎ অফিসে ভীর জমায় গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ, প্রত্যেক গ্রাহকের বিল অতিরিক্ত করা হয়েছে। মিটার রিডিং না দেখেই বিদুৎ বিল বানানো হয়েছে। এছাড়া করোনাকালীন গত দু’মাসে বিল না দেয়ায় সে বিল মিলিয়ে ভূতুরে বিল তৈরি করে গ্রাহকের মাঝে বিলি করা হয়েছে। যা সাধারণ গ্রাহকের কাছে পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য। কতিপয় গ্রাহক জানান, তারা বিদুৎ বিল সংশোধন করতে এসেছে। ইউনিট বেশি ধরে বিল দেয়া হয়েছে সেটা ঠিক করাতে এসেছি। বেশির ভাগ বিলে এমন সমস্যা দেখা দেয়ায় বিদুৎ অফিসে দেখা দিয়েছে জনস্রোত। তাছাড়া এখানে বসে নেয়া হচ্ছে বিদুৎ বিল। ফলে ভিড় জমাতে শুরু করেছে গ্রাহকরা। সেখানেও স্বজনপ্রীতি করে বিদুৎ বিল নেয়ার অভিযোগ ওঠে। অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাযগে নেয়া হচ্ছে বিল। এদিকে বিল বেশি অতিরিক্ত দেয়ায় বিদুৎ অফিস ভবন ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এক পর্যায়ে অফিস কর্মকর্তারা আগন্তক গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গ্রাহকরাও বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অফিসে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসে। এসময় এক গ্রাহকের উপর চড়াও হয় এক পুলিশ সদস্য।অভিযোগ করে মো: রুস্তুম হাওলাদার নামে এক গ্রাহক বলেন, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছি। এর ভিতরে এত বিদুৎ বিল। তাছাড়া দুই তিন মাস বিদুৎ বিল একসাথে আসায় দেয়া খুবই কষ্টসাধ্য। তার উপরে বিল দিতে এসে অফিস কর্মচারীদের আচরন দেখে হতবাক। এ ব্যপারে চাঁদমারী বিদুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আমজাদ হোসেন জানান, ব্যাংক বিদুৎ বিল গ্রহণ না করায় বিদুৎ অফিসে বসেই নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া করোনাভাইরাসে দু’মাস বিদুৎ বিল নেয়া বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের বিল বেশি দেখাচ্ছে। ফলে সবাই তা সংশোধনের জন্য অফিসে ভীর জমিয়েছে। বিদুৎ বিল অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে বলে কেউ অভিযোগ করলে তা ঠিক করে দেয়া হচ্ছে। কেননা হাজার হাজার বিল করা হয়। সেখানে কিছু ভুল হতেই পারে। তাই কোন গ্রাহক আসলে একটু পরেই তা সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।