|
অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়-মামলার বাদী রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত হত্যা মামলা : অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় আজ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মামলার রায় মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর)। বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন। রিফাতের একমাত্র বোন ইসরাত জাহান মৌ বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ছয় আসামির মতো ভাইয়ার খুনিরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়- এটাই আমার প্রত্যাশা। ভাইয়াকেতো আর ফিরে পাব না। তবে ওর খুনিদের যথাযথ শাস্তি হলে আমরা একটু শান্তনা পাব।
মামলার বাদী আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এটা বারবার প্রমাণ হোক। রাষ্ট্র বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক-অপরাধ করে কেউ বাঁচতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। ১৪ আসামির মধ্যে আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা একটি সান্ত্বনা নিয়ে বাঁচতে পারি। রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন তিনি। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেন। গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- মো: রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী (১৭+), মো: রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫+), মো: আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬+), মো: ওলিউল্লাহ অলি (১৬+), জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭+), মো: নাইম (১৭+), মো. তানভীর হোসেন (১৭+), নাজমুল হাসান (১৪+), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫+), মো: সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ (১৭+), মারুফ মল্লিক (১৭+), প্রিন্স মোল্লা (১৫+) রাতুল সিকদার জয় (১৬) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ (১৬+)।
Post Views:
৪০২
|
|